বাংলাদেশে এই প্রথম কোজিয়া সিমা (কড়মরধ ংরসধ) নামের নতুন প্রজাতির এক তিমি শনাক্ত হয়েছে। দেখতে হাঙ্গরের মতো এবং আকারে ডলফিনের চেয়ে ছোট এই প্রজাতির তিমিটি সম্প্রতি কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে আসে। এরপর তিমিটির মৃতদেহের নমুনা পরীক্ষার পর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটি (ডাব্লিউসিএস) বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা দেশে প্রথমবারের মতো এই প্রজাতির তিমি শনাক্ত করেন। ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন সোসাইটির কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, জলজ স্তন্যপায়ী প্রাণিরা সাধারণত প্রতিবারে একটি বাচ্চা জন্ম দেয়। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে বাংলাদেশের সৈকতে পাওয়া গর্ভবতী এই বামন কোগিয়া তিমির পেটে দুটি বাচ্চা ছিল। এই ঘটনা অত্যন্ত বিরল।
ড. জাহাঙ্গীর বলেন, এই তিমিটি প্রাথমিকভাবে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয়রা বীরত্বের সাথে তিমিটি সমুদ্রে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও স্রোতের কারণে বার বার ফিরে আসে এবং প্রায় দুই ঘণ্টা পর তিমিটি মারা যায়। তিমির জন্য ঘটনাটি দুঃখজনক হলেও ছবিগুলো বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নিয়োজিত কর্মীদের কাছে খুবই আশ্চর্যজনক ছিল। ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশে প্রথম এই প্রজাতির তিমির রেকর্ড নিশ্চিত করা হয়।
তবে এ তিমির মৃত্যুর কারণ সমপর্কে আমাদের কাছে কোনো তথ্য না থাকলেও, বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল থেকে বেশ কয়েকটি প্রমাণ পাওয়া গেছে যে, কোজিয়া (কড়মরধ) গণের দুটি প্রজাতিই প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষকে ভুলবশত স্কুইড, অক্টোপাস বা কাটলফিশ ভেবে গিলে ফেলে এবং মারা যায়। যার কারণে এরা আজ বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ এদের পরিপাকতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করতে পারে, এবং ফলস্বরূপ অনাহারে মৃত্যু ঘটতে পারে।












