হুগো শ্যাভেজ : সাম্যবাদের আদর্শ

| শুক্রবার , ৫ মার্চ, ২০২১ at ৫:২২ পূর্বাহ্ণ

হুগো শ্যাভেজ – সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সদা সোচ্চার এক আপসহীন নেতা। দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম দৃঢ় এই ব্যক্তিত্ব চৌদ্দ বছর ধরে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হিসেবে নেতৃত্ব দেন। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা নীতির কঠোর সমালোচক শ্যাভেজ লাতিন আমেরিকাজুড়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত ছিলেন।
হুগো শ্যাভেজের জন্ম ১৯৫৪ সালে। ২১ বছর বয়সে শ্যাভেজ দক্ষিণ আমেরিকার সামরিক একাডেমী থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষে প্যারাট্রুপার অর্থাৎ ছত্রীসেনা হিসেবে সেনাবাহিনিতে যোগ দেন। ১৯৯৮ সালে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এরপর থেকে দেশটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ হতে থাকে। ২০১২ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনেও টানা তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন বামপন্থী এই রাজনীতিবিদ। হুগোর পররাষ্ট্রনীতি ছিল দারিদ্র্যবান্ধব। কঠোরভাবে তিনি সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা করেন। তাঁর শাসনামলে বস্তিবাসীদের জন্য ভর্তুকিতে খাবার ও স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এইসব নীতির কারণে ধনীদের কাছে শ্যাভেজের জনপ্রিয়তা ছিল না। তবে দরিদ্রদের কাছে তিনি ছিলেন বিপুল জনপ্রিয়। হুগো শ্যাভেজ সর্বদাই তাঁর জনগণকে সুরক্ষা দেবার জন্যে আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন। শেষবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। সে সময় তিনি ক্যান্সোরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ডিসেম্বরে চিকিৎসার জন্য কিউবায় যাবার আগে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর নাম ঘোষণা করে তাঁর হাতে দায়িত্ব দিয়ে যান শ্যাভেজ। ১১ ডিসেম্বর শ্যাভেজের শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর তাঁকে আর জনসম্মুখে দেখা যায় নি। ২০১৩ সালের ৫ মার্চ প্রয়াত হন সাম্যবাদী এই নেতা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএই দিনে
পরবর্তী নিবন্ধমশায় অতিষ্ঠ জনজীবন : চাই জরুরি পদক্ষেপ