হল্যান্ড থেকে

বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া | শনিবার , ৩০ এপ্রিল, ২০২২ at ৮:১২ পূর্বাহ্ণ

ম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ টানা দ্বিতীয়বারের মত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন এ কথা ঠিক, কিন্তু একটু গভীরভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এই নির্বাচনে মূলতঃ বিজয়ী হয়েছেন চরম ডান নেতা মারি ল’ পেন। ম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁর পক্ষে ৮৪% ভোট পড়লেও সব ভোট যে ভোটাররা তার নীতিমালা সমর্থন করে বা তাকে ভালোবেসে দিয়েছেন তা ভাবার কোন কারণ নেই। প্রাপ্ত ভোটের বৃহৎ একটি অংশ যা প্রায় ৩০%, তা ম্যাক্রোঁর বাক্সে পড়েছে চরম ডানপন্থী নেতা মারি ল’ পেনের বিজয়কে ঠেকাতে। তাদের মতে, ল’ পেনের মত চরম উগ্রবাদী নেতা কিছুতেই ফ্রান্সের মত একটি প্রগতিশীল দেশের হাল ধরতে পারেন না। ব্যাপারটি ম্যাক্রোঁর অজানা নয়। নয় বলেই গত রবিবার আইফেল টাওয়ারের পাদদেশে তার বিজয়ী ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমি জানি আজ আমাকে অনেকে ভোট দিয়েছেন এই কারণে নয় যে, তারা আমার আদর্শকে সমর্থন করেন। তারা ভোট দিয়েছেন উগ্র ডান প্রার্থীকে ঠেকানোর জন্যে।’ ল’ পেনের ৪১% পাওয়া ভোটের কথা উল্লেখ করে ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসাবে অনেকেই ডানের পক্ষে ভোট দিতে প্ররোচিত হয়েছিল, সেটি আমি উপলদ্ধি করতে পারি, আর উপলদ্ধি করতে পারি বলে এখন থেকে আমার দায়িত্ব হবে সেদিকে দৃষ্টি দেয়া। এখন থেকে আমি তাই বিশেষ কোন একটি দলের প্রার্থী নই, আমি সবার প্রেসিডেন্ট।’ তিনি স্বীকার করেন, ফ্রান্স বর্তমানে ‘অসুন্তুষ্টি’ ও ‘বিভাজনে’ পূর্ণ, কিন্তু তিনি প্রতিশ্রুতি দেন এই বলে, কাউকে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হবেনা। ম্যাক্রোঁ তার দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করবেন নূতন ধরনের সরকারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। তিনি জনগণের কথা শুনবেন, যে ক্ষত হয়েছে তা সারাবেন। অবশ্য এই ধরনের আশ্বাস বাণীতে সাধারণ জনগণের আস্থা খুব একটা নেই, কেননা এই ধরনের কথাবার্তা তিনি আগেও বলেছিলেন। তার বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ তিনি ধনীগোষ্ঠী, ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিত্ব করেন। তবে তার সাফল্যের তালিকাও একেবারে তলানিতে নয়। ক্ষমতায় এসে ম্যাক্রোঁর আনা সংস্কারের কারণে ‘বেকারত্ব’ এখন আর বড় কোন রাজনৈতিক ইস্যু নয়। তিনি সক্ষমভাবে জনগণের প্রতিবাদের মুখেও ‘কোভিড’ মোকাবেলায় সক্ষম হয়েছেন। অন্যদিকে ভোটারদের তার পক্ষে আনার জন্য বাস্তবসম্মত নয় জেনেও ম্যাক্রোঁর চ্যালেঞ্জার, মারি ল’ পেন চাকরি থেকে অবসরে যাবার বয়স সীমা কমিয়ে আনবেন বলে নির্বাচনী প্রচারিভিযানে জানান। ম্যাক্রোঁ ফরাসীদের চাকরির বয়স সীমা ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছরে আনার পক্ষে। রাজনৈতিক ভাষ্যকারদের মতে, দেশের অর্থনীতির জন্যে অবসরে যাবার বয়স বাড়ানো অপরিহার্য। উল্লেখ করা যেতে পারে, হল্যান্ডে কর্ম থেকে অবসরে (পেনশন) যাবার বয়স সীমা ৬৭ বছর।

ম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁর এই বিজয়ে যে কেবল ফ্রান্সের গণতন্ত্রকামী জনগণ স্বস্তির নিঃস্বাস ফেললো তা নয়। অনিশ্চয়তা ও এক ধরনের উৎকণ্ঠা থেকে বাঁচলো ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও প্রোইউরোপীয় দেশগুলির সরকার ও জনগণ। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সাথে সাথে ইউরোপ জুড়ে নেতারা ম্যাক্রোঁকে স্বাগত জানান। ‘এই বিজয় চরম ডানপন্থীদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জয়’ বলে তারা তাদের অভিনন্দন বাণীতে উল্লেখ করেন। তাদের কেউ কেউ ম্যাক্রোঁকে মনে করিয়ে দেন যে তাকে এখন সামাজিক এবং পরিবেশগত নীতিগুলির ব্যাপারে আরও মনোযোগ দিতে হবে। এদিকে রাশিয়ার ইইউ (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) প্রতিবেশীরা ম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁর এই বিজয়ের ফলে একটি ‘ল পেন দুর্ঘটনা’ এড়ানো সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন। তারা স্বস্তিবোধ করেন এই কারণে যে এর ফলে ‘আরও বেশি রুশপন্থী অবস্থানকে’ ঠেকানো গেছে। পাশাপাশি ন্যাটোয় যোগ দিতে ইচ্ছুক ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন উভয়েই ম্যাক্রোঁর জয়কে বড় স্বস্তি হিসেবে দেখছে। বলা বাহুল্য, যদি ফ্রান্সের ক্ষমতায় ল’ পেন আসে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে গোটা ইউরোপ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোয়। ফ্রান্সের রাষ্ট্রীয় মূল চরিত্র যাবে বদলে। ‘ফ্রান্সের ডোনাল্ড ট্রাম্প’ হিসাবে পরিচিত ল’ পেন, যার পুরো নাম মারি ল’ পেন এবং তার বর্ণবাদী ও এন্টিসেমিটিক দল ‘ফ্রেঞ্চ ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এফ এন) ডোনাল্ড ট্রাম্পের মত ‘ফ্রান্স ফার্স্ট’ মতবাদে বিশ্বাসী। এর পাশাপাশি তিনি ও তার দল কট্টর ইসলাম ও অভিবাসনবিরোধী। নির্বাচনী প্রচারাভিযানে তিনি ওয়াদা করেছিলেন, ক্ষমতায় এলে প্রকাশ্যে হিজাব পরিধান নিষিদ্ধ করবেন এবং অভিবাসী রোধে কড়াকড়ি আরোপ করবেন।

. মারি ল’ পেন এই নিয়ে তৃতীয়বারের মত প্রেসিডেন্ট পদের জন্যে লড়াই করে হেরে গেলেন। তবে এবারের ‘হারকে’ তিনি হার বলতে নারাজ। প্রকৃতপক্ষে তাই। কেননা তার বাবা ল’ পেন যখন ১৯৭২ সালে ‘ফ্রেঞ্চ ন্যাশনাল ফ্রন্ট’ গঠন করেন, তখন এই দলটিকে ফরাসীরা এক কাতারে বর্জন করেন। তখন এই দলকে ‘রেইসিস্ট ও এন্টিসেমিটিক’ উগ্রপন্থী দল ছাড়া আর কিছু ভাবা হতো না। ১৯৭৬ সালের নভেম্বর মাসে ল’ পেনের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করা হয়, যদিও বা তাতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তখন মারি ল’ পেনের বয়স ছয়। বলা বাহুল্য, সেটির লক্ষ্যবস্তু ছিল মারি ল’ পেনের বাবা। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন সেই দলটি ২০২২ সালে এসে ৪১,৪৬% ভোট পাওয়া মানে বিশাল ব্যাপার, দল ও দলের নেতা মারি ল’ পেনের জন্য এবং একই সাথে উদ্বেগের ব্যাপার গণতন্ত্রকামী জনগণ ও দেশের জন্যে। অবশ্য মারি ল’ পেন বিগত বছরগুলিতে এন্টিইমিগ্রেশন ও এন্টিমুসলিম ইস্যুতে তার ‘টোন’ কিছুটা নরম করেছেন। মারি ল’ পেন তার বাবার কাছ থেকে পাওয়া দলকে ‘উগ্রবাদ’ চরিত্র থেকে সরিয়ে আনতে কিছুটা সচেষ্ট হন এবং দলকে কেবল উগ্রবাদীদের মাঝে সীমিত না রেখে অর্থনীতির কথা, পেনশন, ইসলাম, বেকারত্ব ইস্যু ইত্যাদি বিষয়ে বক্তব্য রেখে সাধারণ জনগণের কাছাকাছি পৌঁছার চেষ্টা করেন। নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আজকের দিনটি আমাদের বিজয়ের দিন। মোট ৪২% জনগণ আমাদের উপর তাদের আস্থা স্থাপন করেছেন। আমি সেখান থেকে ফিরে আসবো না এবং আমাদের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত কাজ করে যাব।’ মজার ব্যাপার হলো, মারি ল’ পেন রাজনীতিতে নিজেকে জড়াতে চাননি। রাজনীতিতে তার আসা বলা চলে ঘটনাচক্রে। বাবার পর দলের হাল ধরার কথা ছিল তার বড় বোন মারি ক্যারোলিনের। কিন্তু সেটি হয়নি। পরে ১৮ বছর বয়সে মারি ল’ পেন দলে যোগ দেন, তবে সে সময় তার ভূমিকা ছিল দলের কেবল প্রশাসনিক দিকগুলি দেখা। ২০১১ সালে মারি ল’ পেন যখন দলীয় প্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, চেষ্টা চালান দলকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও ইহুদীবিরোধী’ ইমেজ থেকে বেরিয়ে আনতে। তিনি চাইছিলেন বাবা ল’ পেনের ‘বলয়’ থেকে বেরিয়ে এসে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তুলতে। কিন্তু কিছুতেই তা সম্ভব হচ্ছিল না। তাকে দেখা হচ্ছিল ল’ পেনের কন্যা হিসাবে। এক সাক্ষাৎকারে সে সময় তিনি বলেছিলেন ‘আমার বড় সমস্যা হলো আমার পারিবারিক নামল’ পেন।’ মারি ল’ পেন ২০১৬ সালে এক সাহসী পদক্ষেপ নেন। বাবাকে তিনি দল থেকে বহিস্কার করলেন। কেননা তার বাবা দলের এক সভায় তার পুরানো অবস্থানের কথা (এন্টিসেমিটিক) পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। যে পিতার হাত ধরে তিনি দলে এলেন এবং দলের নেতা বনলেন, সেই পিতাকে মারি ল পেন কেবল বহিস্কারই করলেন না, ঘোষণা দিলেন ‘এখন থেকে দলের নামে তিনি কোন বক্তব্য রাখতে পারবেন না’। কী অভিধায় আখ্যায়িত করবেন মারি ল’ পেনের এই পদক্ষেপকে? ‘বিট্রেয়াল’ নাকি দলের প্রয়োজনে, বাস্তবতার নিরিখে এই পদক্ষেপ অপরিহার্য ছিল। বিচারের ভার পাঠকের উপর ছেড়ে দিলাম।

. ফিরে আসি ম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রসঙ্গে। মাত্র ৩৯ বছর বয়সে ২০১৭ সালে ফ্রান্সের মত একটি ক্ষমতাশীল ইউরোপীয় রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে তিনি হন ফ্রান্সের ইতিহাসের সর্ব কনিষ্ঠ প্র্রেসিডেন্ট। জনগণ আশা করেছিলেন তিনি (ম্যাক্রোঁ) তার দেয়া নির্বাচনী ওয়াদা রক্ষায় সচেষ্ট ও আন্তরিক হবেন। কিন্তু বিগত পাঁচ বছরে তিনি তার জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেননি। ২০১৭ সালের নির্বাচনে তিনি ভোট পেয়েছিলেন ৬৬,%, এবারের নির্বাচনে পেলেন ৫৮,৫৪% (ল’ পেন ৪১,৪৬%)। ম্যাক্রোঁ এই পরিমাণ ভোটও পেতেন না যদি বাম দলে পড়া ভোটগুলি তার ব্যাংকে না পড়তো। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে চরম বাম প্রার্থী জিনলুক মেলেনচন ২১,৯৫% ভোট পেয়ে ল’ পেনের পর তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন। ফলে বাম ভোটারদের এই দুজনের (ম্যাক্রোঁ ও ল’ পেন) মধ্যে একজনকে বেছে নিতে হয়। (এছাড়া ২০% ভোটার ভোটদানে বিরত থাকেন।) তাদের কাছে ম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ ছিলেন ‘মন্দের ভালো’। তাদের কাছে একজন (ম্যাক্রোঁ) ‘সেন্ট্রিস্ট’ ও ‘প্রোবিজনেস পন্থী’ ও অন্যজন (ল’ পেন) ‘কট্টর ডান প্রার্থী’। দ্বিতীয়রাউন্ড ভোটের আগে জিনলুক তার সমর্থকদের আহবান জানিয়েছিলেন ম্যাক্রোঁকে বেছে নিতে। আর সে কারণে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাম ভোট যদি ম্যাক্রোঁর পক্ষে না পড়তো তাহলে এবারের নির্বাচনে ম্যাক্রোঁ ও মারি ল’ পেনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতো। সেক্ষেত্রে অনেকে, বিশেষ করে প্রোইউরেপীয়রা আশংকা করছিল ল’ পেনের ক্ষমতায় আসার। সে ভয় ছিল জার্মানি, বৃটেন, হল্যান্ডসহ বিভিন্ন প্রোইউরোপীয় দেশগুলির। আগেই উল্লেখ করেছি ল’ পেনকে বলা হয় ‘ফ্রেঞ্চ ভার্সন অব ডোনাল্ড ট্রাম্প’। তার সাথে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের রয়েছে সখ্য। হাঙ্গেরীর প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবানও কট্টর ডানপন্থী এবং পুতিনের প্রিয়ভাজন হিসাবে পরিচিত।

ডোনাল্ড ট্রাম্পেরও অনুরাগী হিসাবে তার একটা পরিচিতি আছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়া, ব্রাসেলসসের আমলাতন্ত্র এবং ইউক্রেনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকি তার অপছন্দের তালিকায়। দুজনেই চান ব্রাসেলসসের ক্ষমতা কর্তন এবং ইউরোপের চাইতে নিজ দেশের অগ্রাধিকার।

ইউক্রেনকে ঘিরে সৃষ্ট বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে ইউরোপ এক থাকা একান্ত জরুরি। ওরবান, ল’ পেনের মত ইউরোপীয় নেতাদের নিজ দিকে টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পুতিন অনেক দিন ধরে। তিনি চাইছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দুর্বল করতে, যেমন করে ন্যাটো চাইছে রাশিয়ার প্রভাব সীমিত করতে। সে কারণে ম্যাক্রোঁর বিজয়ে ইউরোপ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো আপাতত কিছুটা স্বস্তিতে আছে বলে ধরা যায়। জার্মানির চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মের্কেলের অবর্তমানে ইউরোপে দৃশ্যমান শক্তিশালী নেতা নেই। ফ্রান্স বড় দেশ, প্রভাবশালী দেশ। সে জন্যে অনেকে তাকিয়ে আছেন ম্যাক্রোঁর দিকে। জার্মানির নতুন চ্যান্সেলর ওলাফ সয়েজ কেবল এলেন। এমন পরিস্থিতিতে বলা যায় ইউরোপের আগামী দিনগুলি কেমন হবে তা অনেকটা নির্ভর করছে ফ্রান্স ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁর উপর। ম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁর সামনে বড় দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জঘরে ও বাইরে। দেখা যাক তিনি কীভাবে সে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেন।

লেখক : সাহিত্যিক, কলামিস্ট

পূর্ববর্তী নিবন্ধতুমি রবে নীরবে
পরবর্তী নিবন্ধহাসপাতালে ভর্তি অভিনেত্রী মাধবী মুখোপাধ্যায়