সেশনজট নিরসনের দাবিতে চবির মূল ফটকে তালা

চবি প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৬:০২ পূর্বাহ্ণ

একাডেমিক সেশনজট নিরসন ও স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মূল ফটকে তালা দিয়ে আন্দোলন করেছে ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন থেকে দুপুর আড়াইটার শাটল ট্রেনও আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার দুপুর একটার দিকে ফটকে তালা দেয় আন্দোলনকারীরা।

জানা যায়, বিভাগটির ৬০ থেকে ৭০ জন শিক্ষার্থী জিরো পয়েন্টে জড়ো হয়ে মূল ফটক আটকে দিয়ে আন্দোলন করছেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শরীরে ও মাথায় সাদা কাপড় জড়িয়ে অবস্থান নেন। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের হাতে ‘বয়স গেল শেষ হয়ে, কী করব আর অনার্স করে’; ‘ক্রীড়া বিজ্ঞানে জট কেন? প্রশাসন জবাব চাই’; ‘অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার চাই, এক দফা এক দাবি, স্থায়ী সমাধান চাই’ ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।

শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের নতুন ব্যাচের শিক্ষার্থী এমদাদুল হক বলেন, আট বছরে একটা ব্যাচেরও স্নাতকোত্তর শেষ হয়নি। অন্য বিভাগ যেখানে চার বছরে পুরো স্নাতক শেষ করে সেখানে আমাদের বিভাগের চারটা সেমিস্টারও শেষ হয় না। বিভিন্ন সময় এসব নিয়ে প্রতিবাদ জানালেও প্রশাসন এ সমস্যা সুরাহা করেনি। বাধ্য হয়ে এ আন্দোলন করতে হচ্ছে।

সপ্তম সেমিস্টারে অধ্যয়নরত মো. সফিউল্লাহ বলেন, বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ ও একাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি করতে হবে। বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। উপাচার্যকে এসে সমস্যা সমাধানের ঘোষণা দিতে হবে। নাহলে আমরা এখান থেকে সরব না।

পরবর্তীতে বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে যান। তবে এ সাত দিন সব ধরনের ক্লাস কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে বিভাগটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল মনছুর বলেন, নীতিমালার জটিলতার কারণে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এ কারণে সঠিক সময়ে পরীক্ষা ও ক্লাস নেওয়ার সম্ভব হয়নি। এর ফলে জট দেখা দিয়েছে। আমরা এ সমস্যা সমাধানের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনতুন উচ্চতায় স্বর্ণের দাম
পরবর্তী নিবন্ধসমন্বিত বুকিং সিস্টেমে চলবে লাইটারেজ জাহাজ