সুষ্ঠু নির্বাচনই ইসির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ

| সোমবার , ২৪ জুলাই, ২০২৩ at ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ

আমরা চাই জাতীয় নির্বাচন যেন উৎসবে পরিণত হয়। খুশি মনে মানুষ ভোট প্রদান করবে, তারা স্বাধীন চিন্তা নিয়ে মনের মত প্রার্থীদের ভোট দেবে। বিষয়টি ঠিক এমনআমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। কিন্তু পরিতাপের বিষয় জনগণ সেই ভোট উৎসব থেকে বঞ্চিত। নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে করণীয় কাজ হবে সরকার তথা রাজনৈতিক দলের মানুষের জন্য কল্যাণের ব্রত নিয়ে রাজনীতি করা। তাই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা ইসিকেই করতে হবে। আমাদের দেশের নির্বাচনী ইতিহাস গৌরবজনক নয়। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বার বার আন্দোলন সংগ্রামসংঘাত, সংঘর্ষ যেন অনেকটা নিয়মে পরিণত হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট স্বাধীন ও শক্তিশালী একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। সংবিধান প্রদত্ত সুযোগসুবিধা ও ক্ষমতা প্রয়োগ করে অবাধ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে। তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনকালীন সরকার ও প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের অধীনেই থাকবে এবং রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে হবে। কাজেই নির্বাচন কমিশন যথাযথ ভূমিকা পালন করলে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন নিয়ে সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসার কোন প্রয়োজন থাকে না। নির্বাচন বানচাল বা নির্বাচনী পরিবেশকে বিনষ্ট করতে বিভিন্ন মহল থেকে প্রচারণা, গুজব অপপ্রচার চালানো হতে পারে। এ ব্যাপারেও কমিশনকে সজাগসচেতন থাকতে হবে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে ভোট দিতে পারে আগে থেকে তা নিশ্চিত করতে হবে।

এম. . গফুর,

বলুয়ার দীঘির দক্ষিণপশ্চিম পাড়, কোরবানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউত্তম কুমার : বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি নায়ক
পরবর্তী নিবন্ধমাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ সময়ের দাবি