শিক্ষার্থীদের হাতে মোবাইল নয়, বই তুলে দিন

বেতাগী আনজুমানের অনুষ্ঠানে পেয়ারুল

| শনিবার , ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৯:২৮ পূর্বাহ্ণ

রাঙ্গুনিয়া দরবারে বেতাগী আস্তানা শরিফের আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব আল্লামা শাহসুফি হাফেজ মুহাম্মদ বজলুর রহমানের (.) বার্ষিক ইসালে সওয়াব মাহফিল, বেতাগী রহমানিয়া জামেউল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার বার্ষিক সভা এবং বেতাগী আনজুমানে রহমানিয়ার ৩৭তম বার্ষিক সম্মেলন গত বুধবার দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বেতাগী আস্তানা শরিফ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। দরবারে বেতাগী আস্তানা শরিফের সাজ্জাদানশীন আল্লামা মুহাম্মদ গোলামুর রহমান আশরফের (মা.জি.) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান সরকার বহু পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে মানুষের হাতে হাতে আজ মোবাইল শোভা পাচ্ছে। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির অভাবিত বিকাশের সুফল পাচ্ছে সর্বস্তরের মানুষ। কিন্তু অতিমাত্রায় মোবাইল আসক্তির কারণে শিক্ষার্থীরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা দিন দিন বই বিমুখ হয়ে পড়ছে। এটি শুভ লক্ষণ নয়। তাই শিক্ষার্থীদের হাতে খেলনা হিসেবে দামি মোবাইল না দিয়ে শ্রেষ্ঠ সম্পদ জ্ঞানের বাহন বই পুস্তক তুলে দিন। সন্তানরা শিক্ষাঙ্গনে ও বাড়িতে ঠিকমতো পড়াশোনা করছে কিনা সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিন। এটিএম পেয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, বেতাগী আস্তানা শরিফের মহাত্মা সাধক বুজুর্গ ব্যক্তিত্বগণ মানুষকে দ্বীন ইসলামের দিকে ডেকেছেন। পার্থিব উন্নতি নয়, মানুষকে দ্বীন ধর্ম আল্লাহ রাসুলমুখী করাই ছিল তাদের জীবন মিশন। আমি জেনে অভিভূত হয়েছি এ দরবারের প্রাণপুরুষ আল্লামা হাফেজ বজলুর রহমান (রহ.) ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে অগ্রসংগঠক ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালে বেতাগী দরবার ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়স্থল। দেশের স্বাধীনতার জন্য এ দরবারের সাধকরা দুআফরিয়াদ জানিয়েছিলেন। ফলে তাঁরা যুগ যুগ ধরে স্মরণীয় বরণীয় হয়ে থাকবেন।

মাওলানা আরিফুর রহমান রাশেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য আবুল কাশেম চিশতী। অতিথি ও আলোচক দিলেন অধ্যক্ষ আল্লামা তৈয়ব আলী, আল্লামা নুর মোহাম্মদ সিদ্দিকী, অধ্যক্ষ আল্লামা আবু তাহের, অধ্যক্ষ আল্লামা আহমদ রেজা নকশবন্দী, অধ্যক্ষ আল্লামা মারেফতুন্নুর, অধ্যক্ষ আল্লামা ইলিয়াস নূরী, পীরজাদা আল্লামা জিয়াউর রহমান আহমদ উল্লাহ, শাহ আহসান উল্লাহ, মাহবুবুর রহমান ছফিউল্লাহ, মুহাম্মদ ওবায়দুর রহমান, উপাধ্যক্ষ আল্লামা জসিম উদ্দিন আলকাদেরী, এস এম শফি, রাজনীতিবিদ এম সোলাইমান ফরিদ, মাস্টার মুহাম্মদ আবুল হোসাইন, সংগঠক মুহাম্মদ এনামুল হক ছিদ্দিকী, মাওলানা জসিম উদ্দিন আবেদী, শাহজাদা দোস্ত মোহাম্মদ, মফিজুল ইসলাম সিকদার, মাওলানা আবদুল হাই, গাজী জামাল উদ্দিন, এস এম রেজাউল করিম বাবর, মাওলানা করিম উদ্দিন নূরী, মাওলানা শায়ের মুহাম্মদ ইসহাক, মাওলানা মাহফুজুল হক আলকাদেরী, মাওলানা আবু জাফর, মাওলানা দিদারুল আলম চৌধুরী, এ এম মঈনুদ্দিন আহমদ, মাওলানা আবদুস শাকুর, মাওলানা নাজিম উদ্দিন, আলমগীর ইসলাম বঈদী, এম এ কুদ্দুস, মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ জুনাইদ প্রমুখ। প্রধান অতিথি মাদ্রাসায় ইসলামী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে বই, ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৃষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মতবিনিময়
পরবর্তী নিবন্ধপাহাড় কেটে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস