যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে যারা

| শুক্রবার , ৮ জুলাই, ২০২২ at ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ

অর্ধশতাধিক দলীয় মন্ত্রীর সমর্থন হারানোর পর অবশেষে পদত্যাগে রাজি হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সরকারপ্রধানের পাশাপাশি দলীয়প্রধানের পদ থেকেও সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি। তবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাগ্রহণ না করা পর্যন্ত অর্ন্তবর্তী সরকারপ্রধানের দায়িত্বে থাকছেন জনসনই। এ অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই আলোচনায় উঠে এসেছে- কে হচ্ছেন যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী? মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ বলছে, এই দৌড়ে এককভাবে কেউই এগিয়ে নেই। তবে আলোচনায় রয়েছেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির একাধিক নেতা। চলুন দেখে নেওয়া যাক কে হতে পারেন পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী-
লিজ ট্রাস : দলের তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে ৪৬ বছর বয়সী এ নেতার। গত সেপ্টেম্বর থেকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি।
নাদিম জাহাবী : যুক্তরাজ্যের নতুন এ চ্যান্সেলরের জন্ম বাগদাদের একটি কুর্দি পরিবারে। সাদ্দাম হুসেইনের শাসনামলে ইরাক ছেড়ে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যখন পাড়ি জমান, তখন ঠিকমতো ইংরেজিও বলতে পারতেন না। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম আর বুদ্ধিমত্তার জোরে আজ তিনি মিলিয়নিয়ার।
ঋষি সুনাক : ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৪২ বছর বয়সী নেতা একসময় বরিস জনসনের উত্তরসূরী হওয়ার দৌড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। করোনাভাইরাস মহামারির সময় শিল্প প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কর্মীদের জন্য হাজার কোটি পাউন্ডের প্রণোদনা দেওয়ায় ঘরে ঘরে পৌছে গিয়েছিল সদ্য পদত্যাগকারী ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রীর নাম।
বেন ওয়ালেস : কনজারভেটিভ পার্টির শীর্ষ নেতাদের কাতারে বেন ওয়ালেসের নাম উঠে এসেছে বেশি দিন হয়নি। তবে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া এবং আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর লোকজন সরিয়ে আনার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সাজিদ জাভিদ : ব্রিটিশ সরকারের হাল ধরার মতো আরেকজন অভিজ্ঞ রাজনীতিক হলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত সাজিদ। সদ্যই যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। সরকারের ছয়টি বিভাগে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার, এর মধ্যে ২০১৯ সালে লিডারশিপ কন্টেস্টে চতুর্থও হয়েছিলেন।
পেনি মর্ডান্ট: বর্তমান মন্ত্রিসভার বাইরে থেকে কেউ যদি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, তবে তার এক নম্বর দাবিদার পেনি। ৪৯ বছর বয়সী নেতা কনজারভেটিভ পার্টির সবচেয়ে জনপ্রিয় এমপিদের একজন। বেটিং কোম্পানি ল্যাডব্রোকসের নজরে জনসনের উত্তরাধিকারী হওয়ার দৌড়ে যৌথভাবে শীর্ষস্থান দখলকারী পেনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ২৮.৪৯ কোটি টাকা
পরবর্তী নিবন্ধব্রেক্সিটে জিতলেও রাজনীতির খেলায় হেরে যাওয়া নেতা জনসন