মাহে রমজানের সওগাত

মুহম্মদ মাসুম চৌধুরী | মঙ্গলবার , ১১ মে, ২০২১ at ৪:২২ পূর্বাহ্ণ

ইসলামের ফিতরার গুরুত্ব ব্যাপক। ফিতরা সম্পর্কে মুসলমানরা তেমন জ্ঞাত নন। ফিতরার নিয়ম-কানুন এবং ফিতরা কখন কাদের দিতে হবে সে বিষয়টি অনেকের অজানা। ঈদের দিন ভোরে ফিতরা ওয়াজিব হয়। সুবেহ সাদেকের পূর্বে কেউ ইন্তেকাল করলো তার উপর ফিতরা দেয়া ওয়াজিব নয়। কোন সন্তান যদি সুবেহ সাদেকের পূর্বে জন্মগ্রহণ করে তবে তার ফিতরা দিতে হবে। সুবেহ সাদেকের পরে জন্ম নিলে ফিতরা দিতে হবে না। সুবেহ সাদেকের পর কেউ নতুন মুসলমান হলে তাকেও ফিতরা আদায় করতে হবে না। ফিতরা গম বা আটা অথবা ছাতু দ্বারা আদায় করতে চাইলে ৮০ তোলার সের হিসেবে ১ সের সাড়ে ১২ ছটাক দিতে হবে। পূর্ণ দুই সের দেয়া ভালো। বেশি দিলে দোষ নেই। বরং সওয়াব বেশি পাওয়া যাবে। কম দিলে ফিতরা আদায় হবে না। যব বা যবের ছাতু দ্বারা ফিতরা আদায় করতে চাইলে পূর্ণ এক ছা অর্থাৎ তিন সের নয় ছটাক দিতে হবে। পূর্ণ চার সের দেয়া উত্তম।
ধান, গম, বুট ইত্যাদি দ্বারা ফিতরা আদায় করতে চাইলে এই পরিমাণ গম বা যবের মূল্যমানের সমান দিতে হবে। মূল্য হিসেব করে না দিলে ফিতরা আদায় হবে না। গম বা যব অথবা তৎসমমূল্যের অন্য কোনো খাদ্যবস্তু না দিয়ে সেগুলোর মূল্য নগদ টাকায় দেয়া হলে ফিতরা আদায় হয়ে যাবে। এটাই উত্তম।
একজনের ফিতরা একজনকে দেয়া যায়। আবার একজনের ফিতরা কয়েকজনকেও ভাগ করে দেয়া যায়। যদি কয়েকজনের ফিতরা একজনকে দেয়া হয় তবুও বৈধ হবে। কিন্তু এতোবেশি পরিমাণ দেয়া যাবে না, যাতে সে যাকাত দেয়ার উপযুক্ত হয়ে যায়।
ঈদের নামাজের আগেই ফিতরা আদায় করা মোস্তাহাব। কোন কারণে আগে দেয়া সম্ভব না হলে পরে আদায় করবে। ঈদের দিনে ফিতরা দিতে না পারলে মাফ হবে না। অন্য সময় দিতে হবে। যদি ঈদের আগে রমজান মাসের মধ্যে ফিতরা দিয়ে দেয়া হয় তবে তাও উত্তম। ঈদের দিন পুনরায় ফিতরা দিতে হবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীতে দুই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪
পরবর্তী নিবন্ধকার-মাইক্রোতে ঈদযাত্রা