মাহে রমজানের সওগাত

মুহম্মদ মাসুম চৌধুরী | বুধবার , ২৮ এপ্রিল, ২০২১ at ৭:০৭ পূর্বাহ্ণ

মাহে রমজান পৃথিবীর বুকে আল্লাহর হুকুম আহকাম প্রতিষ্ঠা করার মাস। এই পবিত্র মাসেই মুসলমানগণ ইসলামের শত্রু কুরাইশকুলকে বদরের যুদ্ধে পরাজিত করে এবং এই মাসেই মুসলমানগণ মক্কা ভূমি বিজয় করে তাওহীদের কেন্দ্র হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে। এ জন্য মাহে রমজানুল মোবারক বিজয়ের মাস, ইসলাম প্রতিষ্ঠার মাস। মুসলমানদের দ্বীনি ও দুনিয়াবী উন্নতি, তাদের আধ্যাত্মিক ও পার্থিব উন্নতি, তাদের গৌরব ও শ্রেষ্ঠত্বের অবিস্মরণীয় স্মৃতিবহন করে আনে রমজানের এই পবিত্র মাস।
রোজার উদ্দেশ্যাবলী সার্থক করতে হলে রোজা পালনকারীকে প্রত্যেকটি অঙ্গ- প্রত্যেঙ্গ ও রিপুসমূহকে অন্যায় হতে বিরত থাকতে হবে এবং ন্যায়ের অনুশীলন করতে হবে। হালাল খাদ্য খেতে হবে। অবৈধভাবে উপার্জিত খাদ্য দ্বারা ইফতার করলে সওয়াবের পরিবর্তে গুনাহ হবে। সিয়াম পালনকারীর জিহ্বা কখনও মিথ্যা বা অল্লীল কথা উচ্চারণ করবে না। তার দৃষ্টি কখনও পাপ ও অন্যায়ের দিকে ধাবিত হবে না, সে কখনও অশ্লীল ও কুকথা শুনবে না, তার পা খারাপ দিকে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না, তার রসনা কখনও হারাম বস্তুর স্বাদ গ্রহণ করবে না এবং মন কখনও অসৎ চিন্তায় ব্যস্ত হবে না। এসব অন্যায় হতে বিরত থাকাই আদর্শ সিয়াম পালনকারীর জন্য যথেষ্ট নয়। তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও মন-মস্তিস্ক সৎকাজে নিয়োজিত রাখাই তার কর্তব্য। এই ধরনের সিয়াম পালনকারীর সম্পর্কে প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ ঈমানদারী ও আত্মসংযমের সাথে রমজানের রোজা রাখে, তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
রাহমাতুল্লিল আলামীন, মাহবুবে খোদা, ছরকারে দো-আলম নুরে মদীনা, হযরত মুহম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহর রাস্তায় প্রত্যেক জিনিসের যাকাত দিতে হয়, আর দেহের যাকাত হলো সিয়াম।’ আল্লাহ পাক যাদেরকে সবল দেহ ও সুস্থ মনের অধিকারী করেছেন তারা যদি শরীয়তসঙ্গত ওযর ব্যতীত রমজান মাসে রোজা না রাখে, তবে তারা আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়ার বদলে তাঁর প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো এবং শরীরের যাকাত দানে অস্বীকার করল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্পুৎনিক নিয়ে যা জানা গেল
পরবর্তী নিবন্ধটিকা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছে