মাহে রমজানের সওগাত

মুহম্মদ মাসুম চৌধুরী | শনিবার , ১৬ এপ্রিল, ২০২২ at ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ

রমজান মাস মুসলমানদের জন্য এক মহা বরকতময় মাস। এই মাস পুণ্য অর্জন ও অশেষ রহমতের মাস। কিছু নামধারী মুসলমান রমজানের আগমনে অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য দ্রব্যাদি মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। অনেকের অভিযোগ, কিছু ব্যবসায়ী সারাবছর চুরি করে আর রমজান আসলে ডাকাত হয়ে যায়। এভাবে মুনাফা অর্জন পবিত্র ইসলাম কঠোরভাবে নিষেধ করেছে। কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাড়তি মূল্য আদায় সম্পর্কে প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে প্রতারণা করে মানুষকে কষ্ট দেয় সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়। আরেক হাদিসে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মানুষকে কষ্ট দেওয়ার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস মজুদ করে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
ইসলামের দৃষ্টিতে ব্যবসা করতে হলে মহান আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের নির্দেশ ও তাঁর প্রিয় হাবিবের নির্দেশিত পথ অনুসরণ করতে হবে। মিথ্যা, প্রতারণা, ভেজাল, ওজনে কম ও বাজারে সংকট সৃষ্টি করা যাবে না। ইসলামের দৃষ্টিতে এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে কষ্ট দেওয়া সম্পূর্ণ হারাম। আল্লাহর বান্দাকে কষ্ট দিলে আল্লাহ স্বয়ং নিজেই কষ্ট পান।
মহানবী (দ.) ঘোষণা করেছেন, ক্বলবুল মোমেনু আরশাল্লাহ অর্থাৎ মোমেনের অন্তর আল্লাহর আরশ। তাই মাহে রমজানে মানুষের যেন কোনো কষ্ট না হয় সে ব্যবস্থা করা সকল মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি অধিক মূল্যের উদ্দেশ্যে খাদ্যদ্রব্য চল্লিশ দিনের অধিক সময় মজুদ করে রাখল এবং পরে তা সদকা করে দিল। কিন্তু এতেও তার কাফফারা আদায় হবে না।
তাই রমজানে রোজাদারদের স্বার্থে উল্লেখিত অপরাধ থেকে বিরত থাকা সকলের একান্ত ঈমানি দায়িত্ব। আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিন আমাদের কল্যাণ করুন। আমিন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধউৎসবে মেতেছিল চট্টগ্রামবাসী
পরবর্তী নিবন্ধজব্বারের বলী খেলা হবে