বগুড়ার দুটি আসনের উপ–নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া আলোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম নির্বাচন কমিশনে আপিল করেও প্রার্থিতা ফিরে পাননি। ভোটের লড়াইয়ে ফিরতে সোশাল মিডিয়ায় আলোচিত এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর গতকাল সোমবার হাই কোর্টে রিট করেছেন বলে জানিয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি বলেন, এখন আমার মন ভাল নেই। মনোনয়ন, আপিল এসব নিয়ে খুব ব্যস্ত আছি, টেনশনে আছি।
হিরো আলম বগুড়া–৬ (সদর) এবং বগুড়া–৪ (কাহালু–নন্দীগ্রাম) আসন থেকে উপ–নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এর আগে ২০১৮ সালেও হিরো আলম বগুড়া–৪ সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করে জামানত হারিয়েছিলেন। সম্প্রতি বিএনপির সংসদ সদস্য পদত্যাগের পর নতুন করে বগুড়ার দুটি আসনে উপ–নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। খবর বিডিনিউজের।
‘ভোটারদের চাওয়ার মুখে’ এবার দুটি আসন থেকেই নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হিরো আলম। কিন্তু ‘প্রার্থীদের দেওয়া এক শতাংশ ভোটার তালিকা যাচাই করে একাধিক ব্যক্তির সমর্থনের সত্যতা পাওয়া যায়নি’ বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা দুটি আসনেই তার মনোনয়ন বাতিল করে দেন। পরে তিনি ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। বৃহস্পতিবার আপিলের শুনানি শেষ হলেও রোববার প্রার্থীদের আদেশের কপি দেওয়া হয়। নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতা ফিরে না পেয়ে ২০১৮ সালের মত উচ্চ আদালতের দারস্থ হলেন হিরো আলম।
মঙ্গলবার রিটের শুনানি হবে জানিয়ে হিরো আলম বলেন, এ নিয়ে টেনশনে আছি।
আমার মনোনয়নপত্রে ভোটারদের স্বাক্ষর গরমিলের অভিযোগ আনা হয়েছে। বিগত নির্বাচনেও একই অভিযোগ আনা হয়েছিল; পরে উচ্চ আদালতে শুনানি শেষে মনোনয়নপত্র বৈধ হয়। এবারও তাই হবে। আপিল নিয়ে ঢাকায় ব্যস্ত থাকলেও এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কর্মীদের মাধ্যমে যোগাযোগ করছি এবং নিজেও ফোনে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।