মকবুল ফিদা হুসেন : চিত্রপটের কবি

| বৃহস্পতিবার , ৯ জুন, ২০২২ at ৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ

মকবুল ফিদা হুসেন। খ্যাতিমান চিত্রশিল্পী, লেখক ও চলচ্চিত্র পরিচালক। তবে ছবি পরিচালনা কিংবা লেখক সত্তার চেয়ে চিত্রশিল্পী হিসেবেই তিনি ব্যাপক পরিচিতি এবং তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই শিল্পী ‘ভারতের পিকাসো’ হিসেবে আদৃত ছিলেন। মকবুল ফিদা হুসেনের জন্ম ১৯১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ ভারতের বোম্বেতে। চিত্রশিল্পী হিসেবে তিনি প্রথম পরিচিতি লাভ করেন চল্লিশের দশকের শেষের দিকে।

পোশাকে নিখুঁত, পরিপাটি ফিদা স্বভাবে ছিলেন সম্পূর্ণ বিপরীত- পুরোপুরি খামখেয়ালী। স্যুট-টাই পরলেও কখনো কখনো জুতো পরতেন না, হাঁটতেন খালি পায়ে। ছবি আঁকার জন্য তাঁর নিজস্ব কোনো স্টুডিও ছিল না। মেঝেতে ক্যানভাস বিছিয়ে চলতো আঁকাআঁকি। এমনকি হোটেল রুমেও একই কাজ করতেন তিনি। অবশ্য এর জন্য হোটেল ছেড়ে দেবার আগে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে কার্পণ্য করতেন না। তাঁর শিল্পকর্ম ছিল জ্যামিতিক ধাঁচের। বিষয়বস্তু কখনো বিদ্রুপাত্মক, হাস্যরসাত্মক, কখনো চিন্তাশীল, কখনো বা বিষণ্ন। সুইজারল্যান্ডের জুরিখে তাঁর প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। এর পরই তাঁর শিল্পকর্মের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপ আমেরিকা সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। শিল্পী ফিদা ছিলেন ‘প্রোগ্রেসিভ আর্ট গ্রুপে’র সদস্য।

তাঁর উল্লেখযোগ্য শিল্পকর্মের মধ্যে রয়েছে: মাহাত্মা গান্ধী, মাদার তেরেসা, রামায়ণ মহাভারতের চিত্রকল্প প্রভৃতি। চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ ‘থ্‌রু দ্য আইজ অব আ পেইন্টার’ তৈরির মাধ্যমে।

ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত অভিনীত ‘গজগামিনী’ ছবিটির পরিচালক ছিলেন মকবুল ফিদা হুসেন। ভারত সরকার তাঁকে ‘পদ্মভূষণ’ ও ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত করে। ২০১১ সালের ৯ জুন ইংল্যান্ডে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএই দিনে
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম-দোহাজারী লাইনে লোকাল ট্রেনটি পুনরায় চালু হোক