ভারতের প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি

ধর্ষককে বিয়ের প্রস্তাব

| শনিবার , ৬ মার্চ, ২০২১ at ৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ

ধর্ষককে জেল এড়াতে ভুক্তভোগীকে বিয়ে করার পরামর্শ দেয়ার পর ভারতের প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের দাবি উঠেছে। প্রধান বিচারপতি অরবিন্দ বোব্দের পদত্যাগের দাবিতে পাঁচ হাজারেও বেশি মানুষ এক পিটিশনে স্বাক্ষর করেছে।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, আদালতের শুনানিতে বিচারক অরবিন্দ বোব্দে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত এক সরকারি প্রযুক্তিবিদকে বলেন, ‘তুমি যদি তাকে (ভুক্তভোগী) বিবাহ করতে চাও তাহলে আমরা তোমাকে সাহায্য করতে পারি। আর যদি বিয়ে না করতে চাও তাহলে তুমি চাকরি হারাবে এবং জেলে যাবে।’
প্রধান বিচারপতি বোবদেকে লেখা ওই ‘খোলা চিঠিতে’ নারী অধিকার কর্মী এবং উদ্বিগ্ন নাগরিক তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন বোবদের মন্তব্যে তারা ‘ক্রদ্ধ’ এবং তাকে তার বিবৃতি প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাওয়ার আহ্‌বান জানানো হয়েছে এই চিঠিতে। খোলা চিঠিতে স্বাক্ষরদানকারী ভারতের প্রথম সারির নারীবাদী এবং বেসরকারি সংস্থাগুলো বলেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক একটি মেয়ের ধর্ষণের মামলা নিষ্পত্তিতে আপোষ হিসাবে আপনি বিয়ের যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা ন্যক্কারজনকের চেয়েও খারাপ এবং ধর্ষকের শিকার একজনের ন্যায়-বিচারের অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষককে বিয়ে করার এই প্রস্তাব দিয়ে আপনি ভারতের প্রধান বিচারপতি মেয়েটিকে একজন নির্যাতনকারী, যে তাকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিয়েছিল তার হাতে সারাজীবন ধর্ষণের জন্য তুলে দিচ্ছেন। ভারতে ২০১২ সালে ধর্ষণের রেকর্ড আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করে। ওই বছরে রাজধানী দিল্লিতে একটি বাসে গণ ধর্ষণ করে একজনকে হত্যা করা হয়। ভুক্তভোগীরা পুলিশ এবং আদালতের নিকট প্রায়ই নারীবিদ্বেষী আচরণের শিকার হয়। আদালত তথাকথিত মিমাংসার জন্য ধর্ষককে বিবাহ করতে উৎসাহ দেয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএগিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধমটরশুঁটির সাদা ফুলে একাকার ক্ষেত