বেহাল সড়কে দুর্ভোগ

সরফভাটা আদিবাসী পল্লী

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা ইউনিয়নের আদিবাসী গ্রাম বড়খোলাপাড়া। এই গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের চলাচলের একমাত্র সড়কটির বেহাল অবস্থায় চরম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। কাঁদামাটির এই সড়কটির সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সরফভাটা বোয়ালখালী সংযোগ সড়ক থেকে ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বড়খোলাপাড়া গ্রাম পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি গত ৫ বছর ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। এটি এখন জলকাদায় একাকার হয়ে গেছে। এই সড়ক দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে যানবাহন চলাচল করতে পারলেও এখন পায়ে হেঁটে চলাও দায় হয়ে পড়েছে। হাঁটু সমান কাদা মাড়িয়ে চলতে গিয়ে কৃষক, অসুস্থ রোগী, স্কুল শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের চরম জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই শতাধিক পাহাড়ি এবং অর্ধ শতাধিক বাঙ্গালী পরিবার নিয়ে বড়খোলাপাড়া গ্রাম। কিছুদিন আগেও এই গ্রামে বিদ্যুৎ, যাতায়াতের ব্রিজ-কালভার্ট কিংবা স্কুল ভবন কিছুই ছিল না। কিন্তু এখন এলাকায় এসেছে বিদ্যুৎ সংযোগ, স্কুলে হয়েছে নতুন ভবন, যাতায়াত সড়কেও ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও যাতায়াতের একমাত্র সড়কটি বেহাল পড়ে রয়েছে।
স্থানীয় তরুণ উবামং মার্মা জানায়, এই গ্রাম থেকে পচুর পরিমাণে লেবু ও লেবু চারা সরবরাহ করা হয় সারা বাংলাদেশে। এছাড়া শাকসবজি ও মাছ চাষও করা হয়। গত ৫ বছর আগে রাস্তা করার জন্য মাটি সমান করা হয়েছিল। কিন্তু সরফভাটা-বোয়ালখালী সড়ক থেকে বড়খোলাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উঠান পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটারের মতো সড়কজুড়ে জলকাদায় চরম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় স্কুল শিক্ষক অনন্ত মার্মা জানান, এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করেন। সুদূর ঢাকা থেকেও ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য এই গ্রামে অনেক ব্যবসায়ী আসেন। এই সড়ক দিয়ে অনেক স্কুল-কলেজ পড়ুয়া কোমলমতী শিক্ষার্থীরাও যাতায়াত করেন। সড়কের বেহাল দশায় গ্রামের ভিতরে গাড়ি প্রবেশ করতে না পারার কারণে কৃষকরাও তাদের ন্যায্য পাওনা পাচ্ছে না। বর্তমানে এই সড়কের অবস্থা আরো বেশি খারাপ। মানুষজনের চলাফেরা করাও অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। যার ফলে এই এলাকার মানুষের জনজীবন ও ব্যবসা-বাণিজ্য করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী জানান, সড়কটি দিয়ে একসময় যাওয়া যেতো না। উন্নয়ন বঞ্চিত ছিল এলাকাটি। তবে তথ্য ও সমপ্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের হাত ধরে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছে এলাকাটিতে। এই সড়ক পথে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে এবং মাটি ভরাট করে সড়কটি প্রসস্ত ও উচু করা হয়েছে। এবার স্থায়ীভাবে সংস্কারে বরাদ্দের জন্য প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ২৩ হাজার বছর আগের পায়ের ছাপ
পরবর্তী নিবন্ধসবুজ পাহাড়ে নিত্যনতুন বসতি