বিনোদন কেন্দ্রে উপচে পড়া ভিড়

ঈদের ছুটি

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:৩৬ পূর্বাহ্ণ

প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদের ছুটিতে যান্ত্রিক জীবনের গ্লানি মুছে পরিবার, নিকটাত্মীয় ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে নিয়ে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছেন নগরবাসী। ঈদের আগে থেকেই দর্শনার্থী আকর্ষণে বিনোদন কেন্দ্রগুলোকে ধুয়ে মুছে নতুনভাবে সাজান মালিকপক্ষ। এছাড়া আবার অনেক বিনোদন কেন্দ্র শিশুদের জন্য নতুন নতুন রাইডও নিয়ে আসে।

গতকাল ঈদের চতুর্থদিনও নগরীর অন্যতম প্রধান বিনোদন কেন্দ্র চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, ফয়’স লেক, বাটারফ্লাই শিশু পার্ক, কাজীর দেউড়ি শিশু পার্ক, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা কমপ্লেক্স এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে হৈ চৈ করে ঈদের ছুটি উপভোগ করেন বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ। ফয়’স লেকে সার্কাস সুইং, বাম্পার কার, ফ্যামিলি রোলার কোস্টার, ফেরিস হুইল, পাইরেট শিপ, রেড ড্রাই স্লাইড, ইয়েলো ড্রাই স্লাইড, বাগ বাউন্স রাইডে চড়ে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে শিশুরা। ফয়’স লেকে আসা স্কুল ছাত্র ইভান হাসান বলেন, প্রতি বছর ঈদের ছুটিতে আমি ফয়’স লেকে আসি। এখানে অনেক মজার মজার রাইড আছে। ঈদের ছুটি ছাড়াও সুযোগ পেলে আব্বু আম্মুর সাথে ফয়’স লেকে আসি। অন্যদিকে ফয়’স লেক সী ওয়ার্ল্ডে গতকালও দিনভর শিশুকিশোর এবং তরুণ তরুণীরা ডিজে গানের তালে তালে জলকেলিতে মেতেছিলেন। এছাড়া ওয়েভ পুলের ড্যান্সিং জোনে দল বেঁধে নাচে গানে মেতেছিল কিশোরকিশোরীরা। এমনকি মধ্যবয়স্করাও বাদ যাননি। টিউবে চড়ে এবং মাল্টি স্লাইড ও ডোম স্লাইডে স্লাইডিং করে সময় কাটাতে দেখা গেছে তাদের।

জানতে চাইলে ফয়’স লেক এমিউজমেন্ট পার্কের উপব্যবস্থাপক (বিপণন) বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, প্রথম দিন দর্শনার্থী কিছুটা কম ছিল। তবে দ্বিতীয় দিন, তৃতীয় দিন এবং গতকাল ভালো দর্শনার্থী ছিলো। গতকাল চতুর্থদিন ৭৮ হাজারের মতো দর্শনার্থী ছিল। অন্যদিকে গতকাল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। চিড়িয়াখানায় এবার সবচেয়ে বেশি ভিড় ছিল জেব্রা এবং বানরের খাঁচার সামনে। তবে শিশুরা সবচেয়ে বেশি কাটিয়েছে বানর ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখির খাঁচার সামনে। অভিভাবকদেরও বিভিন্ন পশুপাখির নামের সাথে শিশুদের পরিচয় করিয়ে দিতে দেখা গেছে। অন্যদিকে বাঘ এবং সিংহের খাঁচার সামনেও উৎসুক দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, আজ (গতকাল) ঈদের চতুর্থদিন পর্যন্ত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ৬৫ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হয়েছে। এছাড়া নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতেও ছিলো দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে এক লাখ পর্যটক
পরবর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তরুণ নিহত