প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে

| বৃহস্পতিবার , ৮ জুলাই, ২০২১ at ৫:১০ পূর্বাহ্ণ

দৈনিক আজাদীর গত ৬ জুলাই সংখ্যায় ‘শ্রমিকদের বর্ধিত মজুরি নিয়ে বন্দর পরিস্থিতি ঘোলাটে করার আশংকা’ শীর্ষক প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন বার্থ অপারেটর্স শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর্স এন্ড টার্মিনাল অপারেটর্স ওনার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলে ইকরাম চৌধুরী। প্রকাশিত সংবাদকে ‘মিথ্যা’ ‘উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ এবং ‘ভিত্তিহীন’ বলে উল্লেখ করে প্রতিবাদপত্রে তিনি বলেন, ২০১৩ সালে তৎকালীন নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান চট্টগ্রাম বন্দরে অপারেশনাল কাজে নিয়োজিত শ্রমিক-কর্মচারীদের ১০ শতাংশ হারে মজুরি বৃদ্ধির একটি ঘোষণা দেন। এর উপর ভিত্তি করে অপারেশনাল কাজের রেইট বৃদ্ধি সমন্বয়ের জন্য বিভিন্ন ব্যবহারকারী সংস্থার সদস্যদের নিয়ে একটি কস্টিং কমিটি গঠন করেন। উক্ত কস্টিং কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিগত ২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারি বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি সার্কুলার জারি করে। ওই সার্কুলারে কন্টেনার জাহাজের ক্ষেত্রে অন-বোর্ড অপারেশনের জন্য হ্যান্ডলিং রেইট (শিপিং এজেন্ট কর্তৃক প্রদেয়) ৪ শতাংশ কার্গো হ্যান্ডলিং-এর ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ হারে বৃদ্ধি করে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত শিপিং এজেন্টগণ উক্ত সার্কুলার মোতাবেক বার্থ অপারেটরদেরকে ৯ শতাংশ ও ৪ শতাংশ হারে অর্থ পরিশোধ করেন। কিন্তু পরবর্তীতে নানাভাবে বিভ্রান্তি তৈরি করে এই টাকা প্রদান বন্ধ করে দেন। গত ২৮ জানুয়ারি বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় এক সভায় জেনারেল কার্গোর ক্ষেত্রে ৫.৫ শতাংশ এবং কন্টেনারের ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ রেইট নির্ধারণ করা হয়। শিপিং এজেন্টগণ রেইট প্রদান থেকেও বিরত থাকেন। গত ১৭ জুন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে বার্থ অপারেটর শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর্স এন্ড টার্মিনাল অপারেটর্স ওনার্স এসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের এক যৌথসভায় অন-বোর্ড অপারেশন রেইট কার্গোর ক্ষেত্রে ৫.৫ শতাংশ ও কন্টেনারের ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ হারে বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত বহাল রাখার জন্য নির্দেশ দেন এবং একটি কস্টিং কমিটি গঠন করে দেয়া হয়। কমিটিকে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়। কিন্তু এই বৈঠক এবং নির্দেশনার পরও শিপিং এজেন্টগণ বিল পরিশোধ থেকে বিরত থাকেন এবং নানাভাবে বিভ্রান্তিকর উদ্যোগ নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে তারা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবরে পুনরায় একটি পত্র দিয়েছেন। এমতাবস্থায় শিপিং এজেন্টগণ বার্থ অপারেটরদের উক্ত বর্ধিত হারে অন-বোর্ড অপারেশন বিল পরিশোধ না করলে বার্থ অপারেটরদের পক্ষে শ্রমিক-কর্মচারীদের বর্ধিত হারে মজুরি প্রদান সম্ভব হবে না। ফলে শ্রমিক-কর্মচারীদের মাঝে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়ে বন্দরের শ্রম শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে এবং বন্দরের অপারেশনাল কাজ ব্যাহত হবে বলেও প্রতিবাদপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদকের বক্তব্য ঃ দৈনিক আজাদীর ওই প্রতিবেদনে বার্থ অপারেটর এবং শিপিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের বিরোধ তুঙ্গে এবং শ্রমিক অসন্তোষের আশংকাই করা হয়েছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বরাবরে প্রদত্ত শিপিং এজেন্টদের চিঠির প্রেক্ষিতে উভয় সংগঠনের একাধিক নেতার সাথে কথা বলে দৈনিক আজাদী সংবাদটি প্রকাশ করেছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনাজিরহাট-কাজিরহাট সড়কে ধস
পরবর্তী নিবন্ধমহেশখালীতে কর্মহীন ১০০ স্পিডবোট ড্রাইভার পেল প্রধানমন্ত্রীর উপহার