পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের দাবি

প্রাক্তন শিক্ষক-কর্মচারীদের মানববন্ধন

| সোমবার , ১১ এপ্রিল, ২০২২ at ৭:৫০ পূর্বাহ্ণ

পুঁথি গবেষক মুন্সি আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, জে এম সেন হলের প্রতিষ্ঠাতা যাত্রা মোহন সেন, অধ্যাপক ড. আহমদ শরীফ, গণিতবিদ ড. আতাউল হাকিম, আওয়ামী লীগের প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুসহ অসংখ্য গুণী ব্যক্তিত্বের স্মৃতি বিজড়িত পটিয়া মহকুমা তথা দক্ষিণ চট্টগ্রামে বাংলা শিক্ষার আলোকবর্তিকা হিসেবে খ্যাত, ১৭৮ বছরের পুরোনো পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়কে জাতীয়করণের দাবি তুলেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, অভিভাবক, প্রাক্তন ছাত্রসহ সচেতন নাগরিক সমাজ। গতকাল রবিবার চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে পটিয়া মডেল হাই স্কুল গেইটের সামনে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা এ দাবি জানান। ডা. সৈয়দ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাস্টার চন্দন কান্তি নাথের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও পটিয়া পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলমগীর আলম, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুনিল কুমার বড়ুয়া, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম কিবরিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য শৈবাল বড়ুয়া, বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য দেবাশীষ দাশ, অলক দাশ, নজরুল ইসলাম, মাস্টার শ্যামল দে, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, নুরুল আলম সিদ্দিকী, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য আহমদ কবির, আরিফ আলী চৌধুরী, নজরুল ইসলাম বিপ্লব, আবদুল হাফেজ, লিটন চৌধুরী, রুমা চক্রবর্ত্তী, বিশ্বজিৎ দাশ, সাজ্জাদ সুমন, আহমদ উল্লাহ, রবিন দাশ, রুবেল দাশ বাবু, রাফিউল আকরাম আলভী, তৌহিদুর রহমান আরফাত, সাকিব ই মাহমুদ, মারুফ আলম, শিবু মল্লিক প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ১৮৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পটিয়ায় প্রথম ডিগ্রি কলেজ (বর্তমানে পটিয়া সরকারি কলেজ) প্রতিষ্ঠার পেছনেও পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এবং কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য আড়াই একর জায়গা পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দানকৃত বলে বক্তারা বলেন। বিগত ৫১ বছরে প্রশাসনের তরফ থেকে কয়েকবার এ বিদ্যালয়কে সরকারিকরণের উদ্যোগ নেয়া হলেও অজ্ঞাত কারণে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে প্রাচীন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করার দাবি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমেখলে অগ্রদূত ক্লাবের জয়িতা সমাবেশ
পরবর্তী নিবন্ধবৈসু উৎসবে মেতেছে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী