দেশ হতে দেশান্তরে

সেলিম সোলায়মান | রবিবার , ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৯:১১ পূর্বাহ্ণ

প্রাণ নেবার কসাই
অভ্রর হাতানোযন্ত্র চার্জ করার জন্য আশেপাশের দেয়ালে কোন প্লাগপয়েন্ট আছে কিনা, জায়গায় বসে থেকেই চারদিকে চোখ বুলিয়ে জরীপ করতে করতে ভাবছি, ডিজিটাল এ যুগে আমাদের জীবনে এই হাতযন্ত্রগুলো এমনভাবে হাত ঢুকিয়ে বসে আছে যে, এসব ছাড়া একদণ্ডও চলে না আজ আর কারো! অভ্র না হয় এমুহূর্তে খেলার জন্য চার্জ করতে চাচ্ছে তার হাতানোযন্ত্র, কিন্তু এখানে এখন যদি কারো মোবাইল চার্জ করার দরকার পড়ে, আর যদি তার কাছে না থাকে পাওয়ার ব্যাংক, তখন তো এই লাউঞ্জেই সে আশা করবে এর একটি দ্রুত সমাধান? কেউ কোন কারনে যদি আজ মোবাইল ফোনের সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, তবে তার নিজের অবস্থা হয়ে পড়ে যেমন বিরান দ্বীপে আটকা পড়া রবিনসন ক্রুসোর মতো; তেমনি তার সাথে যোগাযোগ করে ব্যর্থ হয়ে আর কারো না হলেও, তার পরিবার পরিজনের ঘাড়ে মাথায় চেপে বসে নানান অজানা আশংকা আর দুশ্চিন্তার পাহাড়। ফলে এ যুগে যে কোন জায়গায় যেখানে মানুষ বাধ্য হয়ে বা না হয়ে, কাটায় অপেক্ষার সময়, সে সব জায়গায় ডিজিটাল মানুষের সার্বক্ষনিক সঙ্গী নানান ধরনের মুঠোফোন আর হাতানো যন্ত্রের রিফুয়েলিং এর ব্যবস্থা থাকে, নিশ্চিত। কিন্তু এখন এখানে বসে বসে এই নিতান্তই মলিন চেহারার আগমনি লাউঞ্জটির নানান দেয়াল যতোটা দেখতে পাচ্ছি, তাতে তেমন কোন কিছু নজরে পড়লো না!
অতএব বেশ বিরক্ত হয়ে ভাবলাম এটা একটা কথা হল? আজকালকার সময়ের এমন অত্যাবশ্যক প্রয়োজনটির কথা একদম মাথাতেই রাখেনি নাকি এই এয়ারপোর্টের ডিজাইনাররা? তবে সাথে সাথেই মনে হল, আরে এই এয়ারপোর্টের যখন ডিজাইন করা হয়েছিল বা বানানো হয়েছিল এটি; তখন তো এই ধরনের কিছুর এমন তীব্র প্রয়োজন যে হবে মানুষের, তা তো তাদের কেন কারোরই কল্পনাতে ছিল না। গোটা এয়ারপোর্টির ধরনধারন আর আবহতে তো আছে পঞ্চাশ বা ষাট দশকের ভাব। ঐ সময়ে কারো ঘরে একটা ল্যান্ডফোন থাকাই তো ছিল বিশাল বিলাসিতা আর ভাবের ব্যাপার অন্তত আমাদের দেশে। আর ওইসময়ে চায়নার মানুষের জীবনযাত্রাও তো তেমন চাকচিক্যময় ছিল না। তার উপর ওইসময়টা তো ছিল সাংস্কৃতিক বিপ্লবের রমরমা সময়, যখন মুষ্টিমেয়ের বিলাস ব্যসনের ব্যবস্থা করার চেয়ে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ন্যূনতম চাহিদা মেটানোর ব্যবস্থা করাই ছিল এই রাষ্ট্রের একমাত্র না হলেও প্রধানতম লক্ষ।
তদুপরি ঐসময়ে চায়নার অর্থনীতি যা ছিল, তাতে সরকার নিশ্চয়ই এই এয়ারপোর্টটি মানুষের বিমানযাত্রা নির্বিঘ্ন করার জন্য যতটুকু না হলেই নয়, সেরকম করেই বানিয়েছিল। আজকালকার নানান বিমানবন্দর বিশেষত আন্তর্জাতিক গুলোকে যেরকম এক্কেবারে চাকচিক্যময় আর ঝলমলে শপিং সেন্টারে পরিণত করা হয়েছে, ঐ সময়ে সমাজতান্ত্রিক চায়নার তো ওইরকম কিছু করাকে তো নিশ্চয় বুর্জোয়াসুলভ বাহুল্য বিলাসিতাই মনে করা হতো। অতএব এ বিমানবন্দরটি বানানোই হয়েছিল শুধুমাত্র এর মূল কার্যকারণটি মাথায় রেখেই, মানে যাত্রীসাধারণের বিমানে উঠা নামা করার জন্য ন্যূনতম যে সব কিছু না হলেই চলে না, তাই রাখা হয়েছে এখানে মূলত। বাহুল্যের কিছুই নেই এতে।
‘বাবা, বাবা, চল না দেখি ওইদিকটায় কোথাও পাওয়া যায় কি না আমার আইপড চার্জ করার জায়গা’ বিশ তিরিশ ফুট দূরের একটা ভোমা সাইজের পিলারের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে, অভ্র ঐদিকে রওয়ানা দিতে উদ্যত হতেই, ভাবনা থেকে ছিটকে বেরিয়ে নিলাম পিছু ওর।
আমাদের দেশ সহ নানান দেশেই এইরকম জনসমাগমের জায়গাতে, নানান মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা বিক্রেতা কোম্পানি লোকজনের মোবাইল চার্জ করার জন্য কিয়স্ক বানিয়ে রাখে দেখেছি, ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে, ইংরেজিতে যাকে বলে উইন উইন সিচুয়েশন তৈরি করার জন্য। কারণ এতে জীবনীরস ফুরিয়ে যাওয়া নিজ ফোনকে, সহজে রসের যোগান দিতে পেরে যে কোন জনই যেমন ধড়ে প্রাণ ফিরে পান, তেমনি ফোন সচল থাকলে, কথা বা ডাটা বিক্রি করতে পারে ওইখানকার কোন না কোন কোম্পানি। আর কিছু না হোক অন্তত এ ব্যাপারটি চায়না যে রপ্ত করেছে বেশ ভাল, এ ক’দিনে সচক্ষে নানান কিছু দেখে আর নানান অভিজ্ঞতায় তাই তো বুঝেছি। অতএব দেখি গিয়ে এখন অভ্রর নির্দেশিত ঐ পিলারটির ওপাশে এখানকার কোন মোবাইল নেটওয়ার্কের কোম্পানি, করে রেখেছে কি না সে রকম কোন আয়োজন আঞ্জাম।
কিন্তু নাহ, আমার আগেই পিলারের ওপাশে গিয়ে পৌঁছেই অভ্রর মুখ কালো করা ফেলা দেখেই বুঝলাম, নাই ওখানে ওরকম কোন ব্যবস্থা। ঠিক বুঝলাম না ব্যাপারটা!
আমার সেই না বোঝার লেজ ধরেই ভাবনা এলো যে, তবে কি নিরাপত্তার কারনেই চীন সরকার এখানে তেমন কোন কিছু বসাতে দেয় নি নাকি? ডিজিটাল এই যুগেও চায়নার জনগণ যাতে নিজেরা নিজেদের মধ্যেও অবাধ যোগাযোগ করতে না পারে যখন তখন, সেটিই নিশ্চিত করার জন্য কি এও এক সরকারের সুক্ষ্ম কৌশল নয় তো ? মোবাইল নেটওয়ার্কের কারনে পাওয়া দ্রুত যোগাযোগের সুবিধাটির উপর ভর করে যে কোন জায়গায় আজ নব্বইয়ের দশকের এখানকার তিয়েন আন মেন স্কয়ারে ঘটে যাওয়া গণবিক্ষোভের মতো বড় গণবিক্ষোভ সংঘটিত করা যে খুবই সহজ, তার প্রমাণ তো হয়ে গেছে ২০১০ সালে মধ্যপ্রাচ্যে ঘটে যাওয়া গণবিক্ষোভগুলোতে; যেগুলোকে পশ্চিমা মিডিয়া খুব আদর করে নামকরণ করেছে তথাকথিত আরব বসন্ত হিসাবে। আর হ্যাঁ মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যযুগীয় রাজাদের আর চায়নার সমাজতন্ত্রীদের মধ্যে এই একটা ব্যাপারে খুব মিল, আর তা হল বাকস্বাধীনতা আর সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রোধ করা বা এক্কেবারে তা স্তব্ধ করে দেয়া। আর যে ব্যাপারে তাদের প্রচণ্ড অমিল, তা হল মধ্যপ্রাচ্যের রাজাদের শাসনযন্ত্রের সাথে তাদের জনগণের সম্পর্ক হল যাকে বলে আমাদের প্রচলিত কথায়; কিল দেয়ার গোসাই না শুধুমাত্র বরং এক্কেবারে প্রান নেবার কসাই অবস্থাই ।
সে যাক হতোদ্যম অভ্রকে নিয়ে ফিরতি হাঁটা দিতে দিতে ওকে সান্ত্বনা দেবার জন্য বেশ বিজ্ঞভাবে বললাম, জানো বাবা আজকাল কিন্তু এরকম পাবলিক প্লেসের মোবাইল ফোন, আইপড, প্যাড, নোট এসব চার্জ করার জায়গা গুলো দিয়েই নাকি হ্যাকারেরা নানান জনের ফোন হ্যাক করে। আর না হয় এসব জায়গার চার্জিং পোর্টগুলোতে তারা ছড়িয়ে রাখে নানান রকমের ভাইরাস। যেই না কেউ ঐসব পোর্টে তার ডিভাইস চার্জ করার জন্য লাগায়, সাথে সাথে হয় হ্যাকার ঢুকে পড়ে ঐ ডিভাইসে কিম্বা ছড়িয়ে যায় ভাইরাস ওতে। হ্যাকারদের এ ধরনের সাইবার এটাককে নাকি “জুস জ্যাকিং” বলে। অতএব এরকম জায়গায় ডিভাইস চার্জ না করাই ভাল।
আমার এই সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ভাবের কথায় হতাশ অভ্রর মধ্যে কিছুটা সচকিত ভাব খেলে যেতেই, ডিজিটাল বিষয়ে আমার চেয়ে ঢের তুখোড় প্রজন্মের অভ্রকে এইমাত্র ছাড়িয়ে যেতে পারার সুখে যেই না তুলতে যাব তৃপ্তির ঢেঁকুর, সে সময়ই ও বলে উঠলো “কিন্তু বাবা আমার তো আইপড। অ্যাপেল ইজ মাচ সিকিউরড” অভ্রর এরকম জবাবে এবার আমার নিজের সচকিত হবার পালা। ভাবলাম নাহ আগ বাড়িয়ে আর কিছু বলতে যাওয়া ঠিক হবে না, সতত আর দ্রুত পরিবর্তনশীল আজকের ডিজিটাল টেকনলজি নিয়ে, ডিজিটাল প্রজন্মের কাছে; তাতে এ বিষয়ে আমার বিশেষজ্ঞ জ্ঞান যে এক্কেবারে ইয়েস, নো, ভেরি গুড পর্যায়ের তা ধরা পড়ে যাবে অচিরেই।
মনে মনে তাই স্বীকারই করে নিলাম, নাহ এবারেও পারলাম না, নিজেরই সন্তানকে কোনরকম ডিজিটাল জ্ঞান দিতে। এতে কিছুটা হতাশার বোধ হলেও সেটাকে পাত্তা না দিয়ে, অভ্রকে চাঙ্গা করার জন্য বললাম, দাঁড়াও বাবা আমাদের বসার জায়গায় পৌঁছেই ব্যাগ থেকে আমার পাওয়ার ব্যাংকটা বের করে তোমাকে দেব।
হ্যাঁ পাওয়ার ব্যাঙ্ক আছে ব্যাগে আমারও, আর থাকেও তা সবসময়। অন্যসময়ে না হলেও দেশে বা বিদেশে যে কোন ভ্রমণের ব্যাগ গোছানোর সময়, সবার আগে যেমন মূল ব্যাগে ঢুকাই শেভিং কিট, তেমনি স্মার্ট ফোনের যুগে পা দেয়ার পর থেকেই, হাতব্যাগে আগে থেকেই ঢুকিয়ে রাখি মোবাইল ফোনের চার্জার, ইউনিভার্সাল পাওয়ার প্লাগ আর পাওয়ার ব্যাংক এই তিনটি বস্তু অতি অবশ্যই। আমার কাছে যে পাওয়ার ব্যাংক আছে তা জানার পরও অভ্র কেন এতোক্ষণ ওটা চাইল না, তা নিয়ে ভাবিত হয়ে পড়তেই, কিছুটা সন্দেহভরে ও বলে উঠলো- “কিন্তু বাবা তোমার পাওয়ার ব্যাংকটা তো তত পাওয়ারফুল না। আর ওটা তো অনেক সময় কাজও করে না ঠিক মতো’।
কথা ঠিক অভ্রর। অতো কিছু না বুঝেসুজে অনেকটা গাঁড়লের মতোই কিনেছিলাম এই পাওয়ার ব্যাংকটি একবার এমিরেটস ফ্লাইটে ভ্রমণের সময়, ঐ ফ্লাইটের উড়াল দোকান থেকে। ভেবেছিলাম কিনছি যখন ওটা দুবাইয়ের ফ্লাইট থেকে , আর ব্র্যান্ডটি যেহেতু সুইস, সেহেতু যতই হোক না তা চায়না মেইড ওটা ভাল না হয়েই যায় না। এছাড়া এর আগেই একই সুইস ব্র্যান্ডের চায়না মেইড ইউনিভার্সাল প্লাগটিও তো কিনেছিলাম থাই বা সিঙ্গাপুর এয়ার লাইন্স থেকে। সেটি তো বছরের পর বছর নির্ভেজাল সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে । এরকম ভেবেই অনেকটা তড়িঘড়ি করেই কিনেছিলাম ওটা। কিন্তু নাহ, আজকালকার বৈশ্বিক গ্রামের দুবাইভিত্তিক প্লেনের উড়াল দোকান থেকে সুইস ব্র্যান্ডের চায়না মেইড এই পাওয়ার ব্যাংকটি এই ত্রিদেশিয় যোগসাজশকে ব্যর্থ করে দিয়ে আমাকে খুবই হতাশ করেছে। কেনার পর থেকে, কখনোই ওটা থেকে ভাল সার্ভিস পাচ্ছিলাম না যখন, তখন ওটার সাথে দেয়া লিফলেট পড়ে যতোটা বুঝতে পেরেছিলাম, তাতে মনে হয়েছে ওটার পুরো সার্ভিস পেতে হলে আসলে আমার আরো দুটো জিনিষ কেনার দরকার ছিল। যার একটা হলো একই কোম্পানির তৈরি ইউনিভার্সাল এডাপ্টার, আরেকটি হলো ইউনিভার্সাল প্লাগ। যদিও একই কোম্পানির ইউনিভার্সাল প্লাগ আমার আছে আগে থেকেই, কিন্তু পরিষ্কার করে না হলেও ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে ঐ লিফলেটে যা লেখা আছে তাতে মনে হল, দশ বছর আগে কেনা আমার সেই প্লাগ সম্ভবত এটির উপযুক্ত না। আর এডাপ্টার তো আমি কিনিই নি। কারণ আগে তো জানতাম যে, আমার সেই পুরানো ইউনিভার্সাল প্লাগে এডাপ্টার অন্তনির্মিত অবস্থাতেই আছে আবশ্যই; না হয় সেটা নানান দেশের ভিন্ন ভিন্ন জাতের বিদ্যুৎকে বাগে এনে আমাকে সার্ভিস দিল কি করে?
কিন্তু আমার এই যৌক্তিক যুক্তিটি যখন প্রায়োগিক ক্ষেত্রে অপ্রমাণিত করে দিল পাওয়ার ব্যাঙ্কটি কাংখিত সেবা না দিয়ে, তখন একদিকে খুবই বিরক্ত হয়েছিলাম ঐটির নির্মাতা কোম্পানির উপর যেমন, তেমনি হয়েছিলাম এমিরেটসর উপর। কারণ প্লেনের উড়াল দোকানের ক্যাটালগে এটির যে বর্ণনা দেয়া হয়েছিল, তা পড়ে কিন্তু আমার মনে হয়নি যে শুধু ওইটি কিনলেই চলবে না। কিনতে হবে একই কোম্পানির বাকি দুটো পণ্যও একই সাথে। আর এ কথা যদি আমি পরিষ্কার বুঝতাম ক্যাটালগ পড়ে, তাহলে ঐ উড়াল দোকান থেকেই ঐ জিনিষ আমি হয়তো কিনতামই না। এক্ষেত্রে পণ্যটির নির্মাতা কোম্পানিও অবশ্যই সুক্ষ্ম কারচুপি করে আমাকে গাঁড়ল বানিয়েছে।
আর নিজেকে গাঁড়ল ভাবতে কারইবা ভাল লাগে? ফলে ঐটি ব্যাগে থাকলেও সাধারণত বের করি না খুব একটা। কারণ তাতে মনে হয় আমি যে ডিজিটাল আর ইলেকট্রিক ব্যাপারে একটা গাড়লস্য গাড়ল, তা বুঝি উচ্চকণ্ঠে বিজ্ঞাপিত হয়ে যায়। একটু আগে শোনা অভ্রর কথা গুলোতে ফের মনে পড়লো যে আসলেই আমি কতো বড় বেহদ্দ বেকুব। অতএব ফের রাগ তীব্র হলো ঐ কোম্পানির, ক্রেতাকে ভুজং ভাজং বুঝিয়ে হাতে শিকল পরিয়ে একটার জায়গায় তিনটা পণ্য গছিয়ে দেবার কৌশলের উপর। অতএব আমাদের ক্ষণিক আস্তানায় ফিরতেই ও ব্যাপারে কথা আর না বাড়িয়ে, ব্যাগ থেকে পাওয়ার ব্যাঙ্কটি বের করে তুলে দিলাম অভ্রর হাতে।
লেখক : প্রাবন্ধিক, সংগঠক

পূর্ববর্তী নিবন্ধলেখনীর মাধ্যমেও ঘরে বসে আন্দোলন করা যায়
পরবর্তী নিবন্ধসমাজের শুদ্ধ বিবেক মোহাম্মদ খালেদ