দেশ হতে দেশান্তরে

সেলিম সোলায়মান | রবিবার , ২০ ডিসেম্বর, ২০২০ at ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ

গ্রাউন্ড জিরো
সে যাক সত্যের অনিত্যতা আর আপেক্ষিকতার ব্যাপারে সচেতন থাকার পরও, নানান অনলাইন সাইট প্রণীত নানান শহরের শীর্ষদশ তালিকায় বিভিন্নতা দেখলে এখনও যে কারনে আমার মেজাজ খারাপ হয়, তার কারণ দুটো। প্রথমত আজকালকার ভোগের অর্থনীতিতে সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে টাকা। যার কারনে যে দর্শনিয় জায়গার ইজারাদারেরা, যে সাইটে বেশী টাকা ঢালে কমিশন হিসাবে বা বিজ্ঞাপন হিসাবে, সে সাইট সে মতো জায়গাটিকে তাদের শীর্ষদশের লিস্টির উপরের দিকে স্থান দেয়। এর ফলে অনেক সময়ই দেখা যায়, মুফতে দেখা যায় এমন চমৎকার আকর্ষণীয় স্থান তাদের লিস্টিতে ঢোকেই না কখনো। যার প্রাণে যা টানে না হয়ে, ভোগের অর্থনীতিতে টাকার টানেই কোন কিছুর শীর্ষ দশে উঠে আসাটাই স্বাভাবিক এই সত্যটিও মনে থাকে না সবসময়। ফলে একই জায়গার শীর্ষ দশ নিয়ে বিভিন্ন সাইটের ভিন্নধর্মী প্রেসক্রিপশন দেখে প্রথমেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায় চট করে। পরক্ষণেই যখন মনে পড়ে সত্যের অনিত্যতার ব্যাপারটি, আর এক্ষেত্রে অনিত্যতাটি যে তৈরি করেছে টাকা, এই আপাত নিত্য কথাটি মনে পড়ে, তখন সে সত্য হজম করা কঠিন হয়ে পড়ে। সাধে কি আর বলে সত্য সব সময়ই তেতো?
দ্বিতীয়ত, স্বল্পসময়ের জন্য কোন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে নানান লিস্টির ঘোরপ্যাঁচে, আসলেই কোন কোন জায়গায় গেলে দেখা পাবো আমার প্রাণের টানের জায়গাগুলো এ নিয়ে পড়ি কিংকর্তব্যবিমুঢ় অবস্থায় অহরহই, এটা হল সেই দ্বিতীয় কারণ। তবে মেজাজ খারাপ করে বসে থাকলে তো আর চলে না, তাই প্রায়শই আমি করে নেই নিজের একটা শীর্ষ দশের তালিকা। সে মোতাবেক এই চায়না ভ্রমণ পরিকল্পনাটি শুরুর আগেও, যাবতীয় ব্যস্ততা সত্ত্বেও, নানান সাইটের প্রেসক্রিপশন ঘেঁটে গুলে অবশেষে নিজে একটা শীর্ষ দশ লিস্টি বানিয়েছিলাম। আর এই শীর্ষ দশ লিস্টিটি বানিয়েছিলাম, তিন চারটে শীর্ষ দশের লিস্টিতে যে নামগুলো ঘুরে ফিরে বারবার এসেছে সেগুলোকে নিয়ে। কারণ প্রতিটি সাইটই তার নিজের লিস্টিটিকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার জন্য, প্রকৃত দর্শনিয় জায়গা গুলোর চার পাঁচটিকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অবশ্যই স্থান দেয় নিজেদের শীর্ষ দশের তালিকায় । যার মানে হলো শুধুই টাকার জোরে বিজ্ঞাপন দিয়ে যে পরিপূর্ণ বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করা যায় না, এ তারা খুব ভালই জানে। ফলে শুধুই টাকার ঠেলার উপরই পুরো তালিকাটি ছেড়ে দেয় না, অতএব আসল কিছু জিনিষও ঢুকে পড়ে ওতে নিখরচায়।
যেমন মনে পড়ল বেইজিং এর শীর্ষদশ লিস্টি যখন বানাচ্ছিলাম, তখন সব লিস্টিতেই “গ্রেট ওয়াল অব চায়না”ই ছিল এক নম্বরে। বেইজিং না শুধু, চায়নায় আসবে কেউ এমন পরিকল্পনা কেউ যখনই করে আমার ধারণা তার মনে সাথে সাথে যে নাম প্রথমে লাফ দিয়ে আসে তা হল গ্রেট ওয়াল। আমারো যে তার ব্যত্যয় হয়নি সে তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না । গ্রেট ওয়াল ছাড়া প্রাণের টানে যে জায়গা গুলোর নাম লিখেছিলাম আমি দুই আর তিন নম্বরে, সে গুলো কোন প্রাচীন জায়গা না, বরং হাল আমলের জায়গা। সে দুটোর একটা হল তিয়েন আন মেন স্কয়ার; আরেকটি হল “বার্ডস নেস্ট, মানে ২০০৮ সালের অলিম্পিক উপলক্ষে বানানো চায়নার সেই বিখ্যাত অলিম্পিক ভিলেজ!
ঐ যে বলছিলাম ফাইলে আটকানো হোটেলের রিজার্ভেশন কনফার্মেশন বা নিশ্চিতকরণ পাতাটি উল্টে বেইজিং এ আমার নিজস্ব শীর্ষ দশ তালিকার প্রথম নাম “গ্রেট ওয়াল অব চায়না” চোখে পড়তেই অন্য রকম একটা উত্তেজনার শিহরন খেলে গেল মনে। ছোটবেলা থেকেই বহুল শ্রুত, পঠিত হওয়ার কারণে মনে মনে কল্পনায় দেখা ‘গ্রেট ওয়াল’ অব চায়নার পাদমূলে পৌঁছেই গেলাম অবশেষে!
এই দেয়াল সম্পর্কে শৈশবে যে সব প্রচলিত কথা শুনেছিলাম তার বেশীরভাগই ছিল এটির বিশালত্ব নিয়ে । সেগুলোর একটি হলো এরকম যে, চাঁদ থেকেপৃথিবীর মানবসৃষ্ট এই একটি জিনিষই নাকি দৃশ্যমান। এ কথা শুনে একদিকে যেমন আশ্চর্য হয়েছিলাম, আরেকদিকে হতাশ হয়েছিলাম মনে মনে, এই ভেবে যে হায় আমাদের তো রকেট নাই, তাই চাঁদেও যেতে পারব না কোনদিন, তাই ওখান থেকে এই অত্যাশ্চর্য সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম স্থাপনাটিও দেখতে পাবো না উঁকি ঝুকি মেরে হলেও।
শৈশবের সেই ভাবনাটি এ মুহূর্তে মনের দীঘির গহীন জল থেকে টুপ করে ভেসে উঠতেই হাসি পেল দু কারণে। হাসির প্রথম কারণ আমার তখনকার সেই বোকামিপ্রসূত চিন্তাটি নিয়ে, যা কি না আমাকে এরকম ভাবিয়েছিল যে একটি বংগসন্তানের কল্পনাতেও চাঁদ যাওয়াটাই, চীনের মহাপ্রাচির দেখতে যাওয়ার চেয়ে সহজতর! তবে কি আমি সে সময় ভেবেছিলাম যে, চীনের অবস্থান চাঁদের চেয়েও বেশী দূরত্বে? নাকি ঘটনা আসলে গুরুদেবের “নয়ন সম্মুখে তুমি নাই, নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাই” উল্টো হয়ে উঠেছিল? মানে মহাপ্রাচির যেহেতু নয়নের সম্মুখে নাই, তাই সে মনে ঠাই নিতে পারলেও, নয়নে আর মনে দু জায়গাতেই ঠাই নিয়েছিল চাঁদ! ফলে চাঁদের ব্যাপারে ঘটনা ঘটেছিল, নয়ন সম্মুখে আছ তুমি তাই, নয়নে মনে নিয়াছ যে ঠাই !
হাসি পাওয়ার দ্বিতীয় কারণটি হল একটি বহুল প্রচলিত চুটকি, মনে পড়া। সেই চুটকিতে চাঁদ তো আছেই ,সাথে আছে হাজিরজবাব দেয়ার ব্যাপারে তুখোড় বলে পরিচিত আমাদের ঢাকার আদি বাসিন্দা এক রসিক কুট্টি গাড়োয়ান। সেই চুটকি মোতাবকে শ দেড়শো বছর আগে, ঢাকার রাস্তায় যখন দাপিয়ে বেড়াতো ঘোড়াটানা টাঙ্গা চালকেরা, আর যখন আজকের নতুন ঢাকার বেশীরভাগই ছিল বিল, জলাভূমি, জংগল বা ধানের খেত। যখন গুলিস্তানের মোড় ছিল ঢাকার মধ্যভাগ, তখন কোন এক চাঁদনী পহরের রাতে, এখনকার পুরাণ ঢাকার নওয়াবপুর থেকে গুলিস্তান আসার জন্য কোন যাত্রী টাঙ্গাওয়ালার সাথে দরদাম করছিল। সে দরদামে, টাঙ্গাওয়ালার মতে সে তার ন্যায্য ভাড়া চাইতেই, যাত্রীর কাছে তা স্বভাবতই চরম অন্যায্য মনে হওয়ায়, সে গাড়োয়ান যা চেয়েছে তার অর্ধেক দেবে বলে বলেছিল,
“আরে মিয়া কি কও ঐ তো গুলিস্তান দেখা যাইবার লাগছে , এক আনা দিমু চলো “ উত্তরে রসিক গাড়োয়ানের যাত্রীর দৃষ্টি আকাশের চাঁদের দিকে আকর্ষণ করে হাজির জবাব দিয়েছিল-“ঐ যে দেহেন চান্দ ভি হালায় দেহা যাইতাছে , যান তো দেহি দু আনা দিয়া চান্দে”-সে যাক আমার প্রাণের টানের দর্শনীয় জায়গার তালিকার দুই নম্বরে তিয়েন আন মেন স্কয়ারের নামটি এমুহূর্তে চোখে পড়তেই, মনের চোখের পর্দায় ভেসে উঠলো এক চায়নিজ যুবকের ছবি, যে যুবক বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছে তার দিকে অগ্রসরমান ট্যাংক বহরের মুখোমুখি!
হ্যাঁ পশ্চিমা মিডিয়া কর্তৃক বহুল প্রচারিত সেই ছবিটির পেছনে ছিল, মাও উত্তর চায়নায় সংঘটিত সরকার বিরোধী প্রথম বিশালাকার গণ অসন্তোষটি, যার অগ্রভাগে ছিল চায়নিজ ছাত্রসমাজ। আশির দশকে চায়নিজ কমিউনিস্ট পার্টি, তাদের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময়ের অর্থনৈতিক নীতি সমূহ ঘষামাজা করে, পরিবর্তন করে আজকের ভোগবাদী অর্থনীতির পথে পা রাখার পরিকল্পনা করেছিল যখন, তখনি ঘটেছিল সে গণঅসন্তোষ সম্ভবত ১৯৮৯ সনে। ছাত্রদের নেতৃত্বে গোটা চীনে ছড়িয়ে পড়া সেই গণআন্দোলনের সামনের দাবীগুলো ছিল, গণতন্ত্র , বাক স্বাধীনতা আর সংবাদত্রের স্বাধীনতা বিষয়ক।
পুঁজিবাদী মিডিয়ার ক্রমাগত প্রচারণার ফলে এই তিন দাবিই সারা পৃথিবীতে ততদিনে সমাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর আর অব্যর্থ মারণতীর হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিল । আর এছাড়া ঐ সময়টায় ঘটছিল রাশিয়ায় গরভাচভ কাণ্ডও। যার ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর সময়ে সৃষ্ট গোটা পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোতে একে একে ধসে পড়ছিল সমাজতান্ত্রিক কাঠামোগুলো। সে সময় বিশ্বের দিকে দিকে চেইন রিয়েকশনের মতো ঘটতে থাকা এসসব ব্যাপারে সচেতন থাকার পরও, মিডিয়ার মাধ্যমে যখন জানতে পেরেছিলাম তিয়েন আন মেনের গণজমায়েত ও বিক্ষোভ এর কথা, খুব খুশি হয়েছিলাম মনে মনে। যার কারণ ছিল ১৯৭১ এ বাংলাদেশে পাকিস্তান কর্তৃক সংঘটিত নির্মম গণহত্যাটির সহযোগী দেশ ছিল কমিউনিস্ট চায়না!
তবে মিডিয়া সৃষ্ট রটনার উত্তেজনায় উত্তেজিত হয়ে আনন্দিত হলেও, অচিরেই সম্বিৎ ফিরতেই প্রশ্ন জেগেছিল যে, এটি পুঁজিবাদী মিডিয়ার সমাজতন্ত্র ধ্বংসের নিরন্তর প্রপাগান্ডার অংশ কি না তা নিয়ে। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা, মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেয়, যা নাকি পুজিবাদ কখনোই দেয় না, তা নিয়ে তো মিডিয়া তো উচ্চকণ্ঠ নয়। আর গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা বা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সংজ্ঞা টিই বা কি। কে ই বা সেটা ঠিক করছে? এই যেমন এখন মনে পড়লো শাহবাগ আন্দোলনের সময় রাজাকার গ্রুপ অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, যে সব মিথ্যায় সয়লাব করছিল বা যে উন্মত্ত ঘৃণা ছড়াচ্ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়, ওরকম করতে পারাটাই বাকস্বাধীনতা না কি?
সে যাক মিডিয়ার প্রপাগান্ডা নিয়ে এসব তথ্য আর সন্দেহ থাকার পরও, আশ্চর্যের বিষয় হল তিয়েন আন মেন স্কয়ার নামটি দেখার সাথে সাথে যে চিত্রটি একটু আগেও ভেসে উঠল মনে, তা কিন্তু সেই ট্যাংক বহরের সামনে দাঁড়িয়ে চায়নিজ যুবকের দৃশ্যকল্পটিই। তার মানে ভুয়া হোক আর সত্য হোক, প্রচারণা দিয়ে মানুষের মনে ধন্দ, সন্দেহ এমনকি স্থিরবিশ্বাস পুঁতে দেয়ার ব্যাপারে মিডিয়ার যে শক্তি আছে, তা পুঁজিবাদী বিশ্ব কাজে লাগালেও সমাজতান্ত্রিকরা তা করে নি। অতএব হেরে গেছে তারা অবশেষে, এ কথা এই তিয়েন আন মেন স্কয়ার দিয়েও প্রমাণিত হয়। ঐ জায়গাটিতে মাও সহ চীনের আর সব জাতীয় বীরদের সমাধি থাকলেও, আমার কিনা মনে পড়ে ১৯৮৯ এর সেই ছাত্রদের নেতৃত্বে সংঘটিত আন্দোলনটি ঘিরে বিশাল জনসমাগমটির সরকার বিরোধী অবস্থানটিই শুধু, যা নাকি তৎকালীন সরকার অত্যন্ত শক্ত হাতে দমন করেছিল ট্যাংক বহর সমেত সেনা নামিয়ে। তাতে কত লোক হতাহত হয়েছে তা নিয়েও আছে নানান জল্পনা কল্পনা।
আপাতত থাক তিয়েন আন মেন নিয়ে অতোসব রাজনৈতিক ঘোরপ্যাঁচের ভাবনার। এই মুহূর্তে বরং ফাইল ঘেঁটে দেখি বুঝতে পারি কি না, রিজেন্ট হোটেল যাকে নাকি কোন এক রিভিউয়ার বেইজিং এর গ্রাউন্ড জিরো বলে অভিহিত করেছিল , তিয়েন আন মেন থেকে তা কতটা দূরে? আচ্ছা, গ্রাউন্ড জিরো বলতেই বা কি বোঝাতে চেয়েছিলেন সেই রিভিউয়ার ? তাও তো পরিষ্কার মনে হচ্ছে না আর এখন! সাথে সাথেই মনে পড়ল, কিছু রিভিউতে রিভিউয়াররা হোটেলটিকে বেইজিং ডাউন টাউনের হোটেল বলেই বর্ণনা করেছে। আবার দুয়েকজন লিখেছিল এটা হলো সিটি সেন্টারের হোটেল ।
ধন্দ লাগলো এখন এই গ্রাউন্ড জিরো আর সিটি সেন্টার নিয়ে। গ্রাউন্ড জিরো বলতে যদি ধরি ঐটি হলো বেইজিং শহরের এর শুরুর স্থান, তাহলে তো আর সেটা সিটি সেন্টার হওয়ার কথা না। যেমন ঢাকার জিরো পয়েন্ট তো হল গুলিস্তানে , যেখানে আছে লেজেহোমো মানে বিশ্ব বেহায়া লেফট্যানেন্ট জেনারেল হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে গড়ে উঠা গণআন্দোলনের শহিদ নুর হোসেনের স্মরণে নির্মিত স্কয়ার। সেই জায়গাটাকে তো ঢাকার সিটিসেন্টার বলা যায় না । আর আসলেই কি ঢাকার সর্বসম্মত কোন মধ্যভাগ বা সিটিসেন্টার আছে না কি ? আমার কাছে তো মনে হয় সংসদভবন বা মানিক মিয়া এভিনিউকেই ধরা যায় ঢাকার সিটি সেন্টার।
‘বাবা, বাবা দেখ আমার আই পডের চার্জ শেষ হয়ে গেছে। এখানে কোথায় এটাকে চার্জ করবো’ খেলার কোন একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এসে হাতানো যন্ত্রের চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ায় তুমুল বিরক্ত অভ্রের কণ্ঠস্বরে সম্বিৎ ফিরতেই দেখি দীপ্র তখনো গভীর মনোযোগে ব্যস্ত খেলা নিয়ে, নিজ হাতানো যন্ত্রে।
লেখক : প্রাবন্ধিক, সংগঠক

পূর্ববর্তী নিবন্ধএক মুক্তিযোদ্ধার মা
পরবর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধুর ৬ দফা : বাঙালি জাতির ম্যাগনাকার্টা