দেশ হতে দেশান্তরে

সেলিম সোলায়মান | রবিবার , ১৭ জুলাই, ২০২২ at ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ

বহে মাঘ মাসে শীতের বাতাস

ও পাশের ফোনে বেশ কটা রিং হবার পর, একসময় লি খাঁর ধিরস্থির গলার আওয়াজ কানে যেতেই, ভাষা বিভ্রাট এড়ানোর জন্য টেলিগ্রাফিক ভাষা ‘কাম শার্প’কে আরো সংক্ষিপ্ত করে বললাম শুধু কাম, কাম।

‘কি ব্যাপার? এক্ষুনি আসতে বললে কেন? আমার তো কফি শেষ হয়নি এখনো’।

স্ত্রীর জারী করা কারণদর্শানো নোটিশের জবাবে জানালাম, শেষ হয়নি তো আমারটাও। অসুবিধা নেই, কাগজের এই গ্লাস তো জমা দিতে হবে না, গাড়িতে বসেই খাওয়া যাবে কফি। অতপর দু’পুত্র সমভিহারে টেবিলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খাবারের প্যাকেটগুলো দিয়ে ট্রে তিনটি বোঝাই করে, সেগুলোকে যথাস্থানে নিয়মমাফিক সৎকার করে ফিরে এসে দেখি, দলের মহাশক্তিধর নারী সদস্যদ্বয় তখনও ধীরে সুস্থে চুমুক দিচ্ছেন যার যার ঠাণ্ডা ও গরম গ্লাসে, আয়েসে। বোঝা গেল সকাল থেকে হাড়হিম করা ঠাণ্ডায় বিধ্বস্ত হয়ে ঘোরাফেরার ক্লান্তি বেশ জেঁকে বসেছে। এক্ষুনি এই ওম ওম গরমের আরাম ছেড়ে তাই তাদের শরীর মহাশয় আর উঠতে চাইছেন না। এতে আরো নিশ্চিত হওয়া গেল যে, নাহ আজকের মতো বেইজিং ভ্রমণের যতি না টানার আসলেই উপায় নেই।

কী ব্যাপার ওঠো না, চল যাই এখন হোটেলেই ফিরে; বলে টেবিল থেকে নিজের কফির গ্লাসটা তুলে সিঁড়ির দিকে রওয়ানা করতেই, ধীরে সুস্থে দু’জনকে চেয়ার ছাড়ার আয়োজন করতে দেখে, পুত্রদের নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে নামার মুখেই দূর থেকে দরজায় লি খাঁর চেহারা দেখা যেতেই বুঝলাম পার্ক করেছিল সে গাড়ি কাছে ধারেই।

হাত উঁচিয়ে বেশ ক’বার নাড়াচাড়া করে অবেশেষে লি খাঁর দৃ’ষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হতেই, সেও পাল্টা হাত তুলে জবাব দিয়ে ভাবলেসহীন মুখসমৃদ্ধ মাথাটা তার একটু ঝুঁকিয়ে, বেরিয়ে গেল ফের দরজার ওপাশে, মানে বাইরের দিকে।

দ্রুত ঘাড় ঘুরিয়ে লাজু আর হেলেনকে জানালাম যাতে একটু পা চালিয়ে আসে, কারণ দুয়ারে প্রস্তুত শকট। এখানে বেশিক্ষন গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখে ট্রাফিকের জরিমানার পাল্লায় পড়লে, তার দায় নিশ্চয় লি খাঁ চাপিয়ে দেবে আমাদের ঘাড়ে। এমনিতে আজ খুব একটা ঘোরাঘুরি হয়নি গাড়িতে, তাতেই যা গুনতে হচ্ছে ভাড়া, সেটা বেশ খোঁচা দিচ্ছে মনে, ক্ষণে ক্ষণে। তার উপর আবার অকারণ কেন গুণবো নতুন কোনো আক্কেল সেলামি?

দ্রুত পা চালিয়ে ওম ওম গরমের মধ্যে উপচে পড়া ক্রেতায় গমগম করা ম্যাক আউটলেটের দরজা পেরিয়ে বাইরে দাঁড়াতেই হাড় হিম করা ঠাণ্ডা জাপটে ধরতেই, হাড়ে হাড়ে টের পেলাম যে বাইরের অবস্থাটা যাবতীয় অর্থেই অতীব হিম। ছাই রঙয়ের ধোঁয়াশায় ঢাকা রাস্তায় বা আসেপাশে নেই এখনো তেমন লোকজন। এমন কি দেখা নেই পুলিশেরও টিকিটির। সেই সুযোগেই সম্ভবত লি খাঁ গাড়ি এনে দাঁড় করাতে পেরেছে এক্কেবারে এই আউটলেটের সিঁড়ির গোড়ায়। এরই মধ্যে অভ্র দীপ্র সিঁড়ি বেয়ে দৌড়ে নামতেই, লি খাঁ গাড়ির পাশ দরজা খুলে ধরতেই সুরুত করে দু’জন ঢুকে পড়েছে গাড়ির উদরের উচ্চতায়।

‘ওহ মাগো! আবারো সেই ঠাণ্ডা’। পেছন থেকে এসময় লাজুর আর্তনাদ কর্ণকুহরে প্রবেশ করতেই, মনের ভেতরে গুন গুন করে উঠলো শৈশবের পাঠ্যবইয়ে পড়া ‘বহে মাঘ মাসে শীতের বাতাস স্বচ্ছ সলিলা বরুনা’

আরে, আরে! বলে কী? কিসের মধ্যে কি পান্তা ভাতে ঘি! বুঝলাম দেশের মাঘের শীতে বাঘ পালায়, কিন্তু বেইজিঙয়ের এই শীতে বাঘ তো পালাতেও পারবে না, জমে বরফ হয়ে যাবে। আর চারিদিকের এত্তো সব অত্যাধুনিক দালান কোঠার মাঝখানে, স্বচ্ছতোয়া বরুনা পেলে কোথায়? স্ত্রীকীর্তন করে নিজের পিঠ বাঁচাতে গিয়ে তাকে বেইজিং মহিষী বলো আর যাই বলো, তাতে সমস্যা নাই। কিন্তু ঐ কবিতার বাকি কোনো কিছুই খাটে না এখানে। বলে উঠল মনের ভেতরে মনের দ্বিতীয়জন। পুত্রদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ততোক্ষণে তাদের মা আর ফুপ্পিও উষ্ণতার খোঁজে তড়িঘড়ি গিয়ে গাড়ির উদরে স্থান নিতেই, মনের ঐ বিবাদ উপেক্ষা করে এগুলাম নিজেও গাড়ির দিকে।

সিটে উঠে বসতেই, লি খাঁও তার ড্রাইভিং সিটে উঠে বসে, স্টিয়ারিংয়ের উপর হাত রেখে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকাতেই ফের টেলিগ্রাফিক ভাষায় ‘হোটেল’ বলার পরও চাহারায় কোনো ভাবান্তর না হওয়াতে বুঝলাম যে, ডি-কোড করতে পারেনি সে আমার টেলিগ্রাফিক ভাষার। কিম্বা হয়তো সে নিশ্চিত হতে পারছে না যে, আসলেই আজকের বেইজিং অভিযান এখানেই সমাপ্ত করে রিজেন্ট হোটেলেই ফিরে যেতে চাইছি আমরা, না কি চাইছি যেতে অন্য কোথাও? দ্বিরুক্তি না করে তার দোভাষী ফোনটির দিকে ইঙ্গিত করতেই সেটি হাতে তুলে দিতেই, আমাদের গন্তব্য যে রিজেন্ট হোটেলেই তা লিখতেই, ভুস করে গাড়ি ছেড়ে দিল।

একদম ফাঁকাই বলতে হয় মূল সড়কের পাশের এই মার্কেট এলাকার রাস্তাগুলো। মাঝে মধ্যেই দেখছি দুয়েকটা চলন্ত গাড়ি। আরো কিছু গাড়ি চুপচাপ গুটিশুটি মেরে দাঁড়িয়ে আছে রাস্তাগুলোর স্থানে স্থানে ছাইরঙ্গা ধোঁয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে।

এ রাস্তাগুলো চিনে রাখলে পরে তা কাজে লাগবে ভেবে, হোটেল থেকে ঠিক কতোটা দূরে আছে এই ম্যাক আউটলেট তা বোঝার জন্য গভীর চোখ রেখেছি রাস্তার গতিবিধি আর আশপাশের নানান ল্যান্ডমার্কের উপর। এরই মধ্যে একবার বায়ে আরেকবার ডানের রাস্তায় উঠে কিছুক্ষণ চলার পর দেখি এখন সুড়ুত করে গাড়ি উঠে পড়ল মূল সড়কে! দেখেই সেটিকে চেনা চেনা মনে হল। মূল সড়কে গাড়ির সংখ্যা এক্কেবারে খারাপ নয়। তবে চলছে সবই সবেগে ধোঁয়াশায় ঢাকা রাস্তায় হেডলাইট বা ফগলাইট জ্বালিয়ে। লি খাঁ ও ছুটিয়েছে গাড়ি আর সব গাড়ির সাথে তাল মিলিয়ে।

যতোই এগুচ্ছে গাড়ি ততোই যখন আরো বেশী করে মনে হচ্ছিল যে এই সড়ক চেনা আমার, ঠিক তখনি বাঁয়ে নজরে পড়লো গতরাতে হোটেল রুমের জানালা থেকে দেখা বাগেরহাটের সেই ষাটগম্বুজ মসজিদের মতো ছোট ছোট অনেকগুলো গম্বুজঅলা ছাদের সেই সুদৃশ্য বিল্ডিংটি। পরিষ্কার হল, কেন এরকম চেনা চেনা মনে হচ্ছিল রাস্তাটিকে! তার মানে তো হল গেছি পৌঁছে রিজেন্টের দোরগোড়ায়!

এরই মধ্যে গাড়ি আরো কিছুটা সামনে এগিয়ে ইউটার্ন নিতেই চোখে পড়ল গাছপালার আড়ালে রাস্তার ধারের সবচেয়ে বড় গাছগুলোকেও ছাড়িয়ে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকা রিজেন্ট হোটেলের বিল্ডিংটি। যার মানে দাঁড়ায় ইংরেজিতে যাকে বলে এক্কেবারে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে না হলেও, তিয়েন আন মেন স্কয়ারের খুবই কাছেই গেড়েছিলাম আস্তানা আমাদের। হ্যাঁ সকালে মূল সড়ক ধরে কিছুটা ঘুরপথে ঐখানে গেলেও তখনো এটাই মনে হয়েছিল। অতপর তিয়েন আন মেন স্কয়ারের ভূগর্ভস্থ টানেল ধরে মাওয়ের সমাধিতে যাওয়ার বদলে পথ হারিয়ে নিষিদ্ধ নগরীর দোরগোড়ায় গিয়ে যখন এক্কেবারে বেচাইন বেতাল হয়ে পড়েছিলাম, তখন মিস রিনার সহযোগিতায় লি খাঁ যখন আমাদের উদ্ধার করতে গিয়েছিল, নিশ্চয় সে ধরেছিল কোন শর্টকাট মানে কোনাইচ্চা পথ। যার কারণে সেই একই দূরত্বকেই মনে হচ্ছে এখন এক্কেবারে ঢিল ছোড়া দূরত্ব। আচ্ছা, এতোই যদি কাছে হবে তিয়েন আন মেন স্কয়ার তবে আমাদের এইরকম একটা আস্ত গাড়ি গছিয়ে না দিয়ে, মিস রিনা ইচ্ছা করলে তো আরো সহজ উপায় বাতলে দিতে পারত। তাতে বেশ কিছু পয়সা বাঁচতো, মনে হতেই খিচড়ে গেল মনটা।

এক্ষণে হোটেলের নির্দিষ্ট স্থানে গাড়ি থামিয়ে ড্রাইভিং সিট থেকে নেমে লি খাঁ পেছনের যাত্রীদের নামার সুবিধার জন্য পাশ দরজাটি খুলে ধরতেই, হুড়মুড় করে দু’পুত্র নেমে দৌড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে দেখি সেই ফেরারি গাড়ির শো রুমের সামনে।

সকালে সব মিলিয়ে সাক্কুলে এই গাড়িতে চড়েছি হয়তো মিনিট দশ বা পনের, আর ফেরার পথে সব মিলিয়ে চড়েছি তারও চেয়ে ঢের কম। এছাড়া আজ তো এখানেই সমাপ্তি টানতে হচ্ছে আমাদের বেইজিং দর্শনের, এটুকুতেই ভাড়া হিসাবে যা দিতে হচ্ছে, তাতে তো পয়সা উসুল হচ্ছে না মোটেও। নাহ, ব্যাপারটা নিয়ে ধরতে হবে মিস রিনাকে, ভাবতে ভাবতে গাড়ি থেকে নেমে পুত্রদের দিকে অগ্রসর হতেই ‘শোন আমরা তাহলে যাচ্ছি রুমে। ওদেরকে তুমি ধরে নিয়ে আসো’ জারী হলো স্ত্রীর জরুরি এলান। মাথা নেড়ে তাতে সায় দিয়ে, লি খাঁকে হাত তুলে তিষ্ঠ ক্ষণকাল বাছা, বলে পুত্রদের কাছে এগিয়ে যেতেই ‘দেখো বাবা, দুটো ফেরারিই আছে এখনো’ একমুখ হাসিতে সোৎসাহে জানাল অভ্র। বুজলাম ওর মনে আশংকা ছিল এরই মধ্যে যদি একটা বা দুটোই বিক্রি হয়ে গিয়ে থাকে! আর তা না হওয়ায়, ফিরে এসে দুটোকেই বহাল তবিয়তে জায়গা মতো থাকতে দেখে বড়ই আনন্দিত ও। ভাবলাম বলি যে, এ তো খেলনা গাড়ি নয় যে দুদ্দাড় বিক্রি হয়ে যাবে। কিন্তু আমার মুখ খোলার আগেই ছোট ভাইয়ের এই বোকামিপ্রসূত আনন্দে বিরক্ত হয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে দীপ্র বলে উঠলো ‘আরে বোকা বোঝ না ফেরারি কি টয়োটা নাকি যে, তাড়াতাড়ি বিক্রি হয়ে যাবে? অনেক আগে থেকে অর্ডার করে ফেরারি পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়, বোঝ না কেন!’
‘আরে জানি, জানি। আমিও তো সেটাই বলছিলাম। মা মা মানে …’ ভাইয়ার তাচ্ছিল্যের তীব্র প্রতিবাদ করে তার যুক্তি দিতে গিয়ে স্বভাবসুলভভাবে অভ্র তোতলাতে শুরু করতেই, ব্যাপারটার রাশ টেনে ধরার জন্য বললাম, আচ্ছা তোমরা দুজন দাঁড়াও তো এদিকে। ফেরারি গুলোর সাথে তোমাদের ক’টা ছবি তুলে রাখি আপাতত এখন বাইরে থেকেই। পরে একসময় ঐ শো রুমের ভেতরে গিয়ে ছবি তুলবো ।

যাদুর মতো কাজ হলো এ কথায়! অতপর ছোঁয়াফোনে দ্রুত বেশ কয়েকটা ছবি তুলে, পুত্রদ্বয় কে বগলদাবা করে হোটেলে ঢোকার সেই ঘূর্ণায়মান দরজা পেরিয়ে লবিতে পা দিতেই দেখি, লবির ঠিক মাঝামাঝি জায়গায় লাজু আর হেলেনের সামনে দাঁড়িয়ে মিস রিনা হাত পা নেড়ে তার চিঁ চিঁ গলায় তার ই স্বভাবগত উচ্চস্বরে কি যেন বলে যাচ্ছে, উত্তরে ‘ওকে, ওকে, উই আর ফাইন’ বলেই লাজু আমাকে দেখে বলল ‘এই যে দেখ না, কি যে বলছে এ, বুঝতে পারছি না। আমরা ঢুকতেই দৌড়ে এসে আমাদের থামিয়ে কী কী যে বলল এতোক্ষণ, তার সব না বুঝলেও, এটা বুঝতে পারছি যে বেচারি খুব চিন্তায় ছিল আমাদের নিয়ে। এখন তুমি সামলাও এ কে’।

এরই মধ্যে আমার উপস্থিতি মিস রিনার গোচরীভূত হতেই এগিয়ে হাত মেলানোর জন্য হাত বাড়িয়ে দিতেই, স্ত্রীর উপস্থিতিতে এইভাবেই পরনারীর পাণিগ্রহণের অতিসম্ভাব্য বিরাট বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়েও শুধু বাঙালি জাতির পুরুষের সম্মান রক্ষার্থে সহাস্যে হাত বাড়িয়ে তা লুফে নিয়ে বললাম অনেক ধন্যবাদ তোমাকে। পথ হারিয়ে ফেললেও অবেশেষে তোমার আর লি খাঁ র যৌথ উদ্যোগে সবাই ঠিকঠাক ফিরেছি। অবশ্য এ ব্যাপারে তোমার কৃতিত্বই বেশী, না হয় আমরা কোথায় ছিলাম তা তো কিছুতেই বোঝাতে পারতাম ফোনে না লি খাঁ কে আমি।

শুনে একটা আশ্বস্ত হাসি হেসে ফের মিস রিনা তার চায়নিজ সাইজের চোখ মাথায় তুলে ফের চিং চাং ঝংকারের চিংলিশে জানাল যে কী টেনশনেই না ছিল সে ঐ সময়, কারণ ঐ জায়গাটা তো টাউট বাটপারে ভরা। যদিও আমাদের খুঁজে পাওয়ার পর লি খাঁ তাকে ফোনে সে খবর জানিয়েছিল, তারপরও নাকি তার বুক ধড়পড় করছিল এতক্ষণ, যতক্ষণ না সে দেখেছে আমাদের সহি সালামতে ফিরতে।

ঠিক বুঝতে পারছি না, তার এই যে টেনশন, এর কতোটাই বা আসল আর কতোটাই বা ক্রেতাভেজানো অভিনয়? তিয়েন আন মেন স্কয়ারের মতো জায়গার আশপাশের জায়গাটা কতোটাই বা অনিরাপদ হতে পারে দৌরাত্ম্য টাউট বাটপারের কারণে! তবে ঘটনা যাই হউক এক্ষণে কেন জানি মিস রিনাকে বড়ই আপন মনে হল।

লেখক : ভ্রমণ সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক

পূর্ববর্তী নিবন্ধফের দাবানলের মতো বাড়ছে করোনা সংক্রমণ
পরবর্তী নিবন্ধজ্ঞানতাপস ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ