দেশ হতে দেশান্তরে

সেলিম সোলায়মান | রবিবার , ২০ মার্চ, ২০২২ at ৮:২৬ পূর্বাহ্ণ

সামাজিক নিয়মানুসারে নিরন্তর ঠাণ্ডাযুদ্ধেই ব্যস্ত থাকাটা যাদের কথা, পরিবারের সেই দুই পরাশক্তির জোটবদ্ধভাবে যাদুঘরের এই কক্ষ থেকে নিষ্ক্রান্ত হয়ে যাওয়ায় দ্রুতই টনক নড়ল নিজের। ত্বরিত সিদ্ধান্ত নিলাম, নাহ আর বিলম্ব নয়! সুতরাং পুত্রদের ড্রাগনপুরাকীর্তি খুঁজে বের করার প্রতিযোগিতায় অকস্মাৎ যতি টেনে, ওদের নিয়ে দ্রুত বেরিয়ে এলাম বারান্দায়।
আমাদের বেরিয়ে আসতে দেখেই জোটবদ্ধ পরাশক্তিদ্বয় করিডোর ধরে মূল হল ঘরের দিকে না হেঁটে বরং পরের ঘরের খোলা দরজাটিতেই পা রাখল। বোঝা গেল যে নাহ ব্যাপার তত গুরুতর নয়! তবে তাড়া আছে। যদিও নিজমনে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলাম শুধুই দেব একটা চক্কর মিউজিয়মে, কিন্তু তারপরও এ পর্যন্ত বেশ কবারই নানা পুরাকীর্তিতে যে রকম মনোযোগ দিয়েছি তাতে তাদের এক্কেবারে বিরক্তি না হলেও ধৈর্যচ্যুতি ঘটেছে। এদিকে আবার ফোনের পর্দায় চোখ পড়তেও বুঝলাম সময়ও নেই হাতে তেমন।
ফলে নতুন এই কক্ষে ঢুকতে গিয়ে ফের মনে করিয়ে দিলাম নিজেকে যে, কোন কিছু তারিয়ে তারিয়ে না দেখে, দেখবো শুধুই তাড়ার উপরেই! এতে আর কিছু না হউক প্রাচীন চীনের সব কটা রাজবংশের সাম্রাজ্যেই অন্তত পা ফেলা হবে। সেটাই বা কম কী? মনে পড়ল কে যেন বলেছিল “যদি তুমি তাড়াতাড়ি এগুতে চাও, তবে একাকী যাও, আর যদি যেতে চাও বহুদূর তবে দলেবলে যাও।” এখন তো দেখছি ঘটনা উল্টা। একটু আগেই আমার সেই রয়ে সয়ে এগুনোর কারনে এক্কেবারে নেতৃত্বই হারিয়ে এগুচ্ছি এখন দুই পরাশক্তির পিছু পিছু। আশার কথা ওদের হাঁটার গতি তত দ্রুত নয়। অতএব এক্কেবারে ঝড়ের গতিতে দেখতে হবে না যাদুঘর।
আচ্ছা ঐ যে দূরে ওটা কি দেখছি? গণ্ডারই তো মনে হচ্ছে ওটা! বেশ কিছুটা সামনে বড় একটা কাঁচের শোকেসে রাখা, নিখুতভাবে গড়া কালচে তামাটে রঙয়ের প্রমাণ সাইজের ধাতব গণ্ডার পুরাকীর্তিটির দিকে নজর যেতেই মনে হল ঐ কথা কটি। সাথেসাথে নিজ প্রানিবিদ্যার জ্ঞান ঝালিয়ে মনে করতে চেষ্টা করলাম, জায়েন্ট পান্ডার দেশ চায়নায় কখনও গণ্ডার ছিল কী না?
নাহ কিছুই মনে পড়ল না এ নিয়ে। খালি মনে পড়লো যে প্রকৃতির উপর অবিরল চলমান মানবসন্ত্রাসে গণ্ডার এখন কোন মতে বেঁচেবর্তে আছে শুধু আফ্রিকায়। অথচ একসময় কিন্তু বাংলাদেশেও পাওয়া যেত গণ্ডার। গণ্ডারের এই পুরাকীর্তিটির পাশ দিয়ে এগুতে এগুতে ভাবলাম দেখিই না পড়ে, কি লেখা আছে ওতে। কতই বা বয়স ওটার? কিন্তু নাহ সাথে সাথেই বাতিল করে দিয়ে ভাবলাম হবে হয়তো বয়স ওটার বছর তিন বা চার হাজার। অতো নিখুঁত বয়স জেনেই আর কি হবে এখন। আছি যখন প্রাচীন চায়নার রাজত্বে ওটার বয়স তাহলে ওরকমই হবে।
এরই মধ্যে পুত্রদ্বয় লাফাতে লাফাতে কিছুটা দৌড়ের ভঙ্গিতে এগিয়ে গেছে সামনে। সম্ভবত দুই পরাশক্তির ভাবেসাবে ওরাও বুঝে গেছে যে, থাকতে হবে এখন দৌড়ের উপরেই। তাতে কোন সমস্যাও নেই, কারণ এ ঘরেও কিছু দর্শক ইতিউতি ঘুরে বেড়ালেও, ওদের এই দৌড়ঝাঁপের কারণে কারোই কোন শান্তিভঙ্গের অবকাশ নেই।
নিশ্চিন্তে তাই হাঁটার উপরে ডানে বাঁয়ে সাজিয়ে রাখা প্রাচীন ধাতব অস্ত্রশস্ত্র, হাড়িকুড়ি, বাসন, পেয়ালা, চীনা মাটির নানান আকারের ফুলদানি, পানপাত্র এসব দেখছি। থামছি না কোথাও।
“বাবা, বাবা এটা কি?” সামনে থেকে দীপ্রর গলা ভেসে আসতেই দেখলাম দাঁড়িয়ে আছে তারা একটা বেশ বড় শেওলা রঙয়ের কারুকার্যময় ধাতব চারকোনা সিন্দুকের কাছে। ততোক্ষণে সামনে থাকা লাজু আর হেলেনও গিয়ে দাঁড়িয়েছে ওদের পাশে। দেখছে ওরাও ওটা বেশ মনোযোগে! আর অবশ্যই এ সুযোগ হাতছাড়া করার মানে নেই!
দ্রুত পা ফেলে এগিয়ে গিয়ে ঐ শোকেসটির চারদিক জরীপ করে এটিতে থাকা তথ্যকার্ডটির ইংলিশ অংশ পড়ে জানলাম, বয়স ওটার তিন হাজার বছরের উপর! তৈরি ওটা ব্রোঞ্জ দিয়ে। নাম এর লেখা আছে হৌমৌ ডিঙ। তবে এই ডিঙ বাবার কাজ যে কী? তা বুঝতে পারলাম না। তবে জানলাম এটি হল প্রাচীন স্যাং রাজাদের আমলের জিনিষ। আরো জানলাম সারা পৃথিবীতে এ পর্যন্ত ব্রোঞ্জনির্মিত যতো পুরাকীর্তি পাওয়া গেছে, তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় আর ভারি। যা’তে আবারো ঘোষিত হল চায়নার প্রাচীন সভ্যতার শ্রেষ্ঠত্ব! “আচ্ছা এটা কি গহনার বাক্স না কি?” একই রমক উৎসুক প্রশ্ন দুই পরাশক্তির!
উত্তরে প্রায় বলেই ফেলেছিলাম যে, যার মনে যা, ফাল দিয়া উঠে তা। কপাল ভাল সামলাতে পেরেছিলাম নিজমুখ। সামলে বললাম, বুঝতে তো পারছি না এটা দিয়ে কি করতো সেই স্যাং রাজারা, তবে এটার নাম হল ডিং। ডিং মানে গহনার বাঙ কী না, তা তো জানি না। ঠিক আছে গুগুল করে দেখে নেব পরে, বলতে বলতে এগিয়ে যেতেই হেলেন আরো সামনে বা দিকের দেয়ালের কাছে থাকা একটা পুরাকীর্তির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলল “দাদা, দাদা, ঐ যে মানুষের মতো ওটা কি রাখা আছে ঐ দিকে?”
সদলবলে ঐদিকে এগুতে এগুতে ভাবছি, মিশরের পিরামিডে যেমন পাওয়া গেছে একসময়ের পরাক্রমশালী ফারাওদের মমি, এটাও কি তেমন কিছু নাকি? ভাবছি ওটা, কারণ হেলেন যে বলেছে মানুষের মতো আকৃতি, কথাটা একদমই ঠিক।
সে যাক কাছে গিয়ে এর বিবরণ পড়ে হৃদয়ঙ্গম করলাম যে এটা মমি নয় বরং শবাধার। জানলাম তা তাৎক্ষণিক
“শবাধার মানে কি?” জিজ্ঞাসা অভ্রর
ওহ বাবা, মানে এটা হলো লাশ রাখার খাটিয়া, মানে ঐ যে মানুষ মরে গেলে তো লাশ হয়ে যায়। তখন সেই লাশ মানে বডিটাকে রাখার জন্য এটাকে বানিয়েছিল চাইনিজ হান রাজারা প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে। নাহ এটা ঠিক খাটিয়া নাহ এটাকে কফিন বলতে পারো
“আরে দূর কি বলছ এসব! খাটিয়া, কফিন কোথায়? এটা তো আমার কাছে ড্রেসের মতো লাগছে” এক্কেবারে মানুষের আকৃতিতে আর সাইজে জেড পাথরের টুকরো জোড়া দিয়ে বানানো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সাইজের এই পুরাকীর্তিটির ব্যাপারে এ এলান জারী করল লাজু। আসলেই, তো। আমি কেন এটাকে খাটিয়া বা কফিন বলছিলাম? এটাতো পোশাকের মতই মনে হচ্ছে। মিশরিয়রা যেমন তাদের সম্রাটসম্রাজ্ঞীদের মৃতদেহকে মমি বানিয়ে, বিশেষ কায়দায় বানানো লিনেন কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে দিত, এও তো দেখছি তাই। ঘটনা হচ্ছে, এই জেড পাথরে বানানো পোশাকের ভেতরে নেই কোন সম্রাটদেহ। সেদিক থেকে বরং এটিকে বলা চলে মৃতের পোশাক, মানে আমরা যাকে বলি কাফন তা।
“আমরা গা ছম ছম করছে। চলো মনু, পিকাসো এখান আর না দাঁড়াই” বলেই দুই ভ্রাতুষ্পুত্রকে ওদের অনিচ্ছা সত্ত্বেও বগলদাবা করে সামনে এগুবার চেষ্টা করতেই দু জনেই গা মুচড়ে মৃদু প্রতিবাদ করতে করতে এগুতে শুরু করতেই আমরাও পিছু নিলাম ওদের ।
এগুতে এগুতে ভাবছি, আচ্ছা মিশরের ফারাওদের আর চায়নিজ প্রাচীন সম্রাটদের মৃত্যুপরবর্তী ভাবনা তো প্রায় একই দেখছি। মরার পরেও তারা সম্রাটই থাকতেই চাইছিল। ফলে মরার সাথে সাথে তাদের সাম্রাজ্যবাদি ইচ্ছার মৃত্যু ঘটুক তা তারা চায়নি। বরং পরকালেও তারা ঘটাতে চেয়েছিল সাম্রাজ্যের বিস্তার! তবে নাহ, তাদের ঐ ইচ্ছাটিকে কি সাম্রাজ্যবাদি ইচ্ছা বলা ঠিক হবে? সাম্রাজ্যবাদি ব্যাপারটা শুধু প্রাচীন সম্রাটদের ক্ষেত্রেই ছিল তা তো নয়, বরং আছে এটি এই ডিজিটাল যুগেও। শুধু রূপ সাম্রাজ্যবাদিতার, যুগে যুগে, শতকে শতকে , যেমন চলছে এখন ডিজিটাল সাম্রাজ্যবাদিতা। ফলে প্রাচীন রাজরাজড়াদের ঐ ইচ্ছাটিকে সম্রাটবাদিতা বললেই মনে বেশী ঠিক হয়।
সে যাক, ঐ সম্রাটবাদি ইচ্ছার কারণে ফারাওরা তাদের মৃত দেহকে মমি বানানোর রীতি চালু করে, নিজেদের মমির সাথে সোনা দানা হীরা জহরত তো অবশ্যই সাথে নাকি দাসদাসির বহর থেকে কিছু মেরে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করে রেখেছিল! সেরকমই কি এখানেও নাকি? না হয় জেডপাথরের মতো দামি পাথর দিয়ে এরকম কাফন বানিয়েছিল কেন? আর সেটাই বা কেন করল এরা যখন নাকি ছিল তারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী? বৌদ্ধধর্মানুসারিদের পরকাল বিষয়ক চিন্তা তো এমন নয়। তারা তো জানি চায় নির্ভানা। নাকি রাজ রাজড়ারা নির্ভানার চেয়ে কিম্বা বার বার এ গ্রহে নানা রূপে ফিরে আসার বদলে ইহজগতের মতো পরজগতেও চেয়েছিল সাম্রাজ্য বানাতে?
আচ্ছা হান রাজাদের সময়ে কি বৌদ্ধ ধর্মের বিস্তার ঘটেছিল চায়নায়? নাকি তারা ছিল তখন কনফুসিয়াসের অনুসারী? সেটাই যদি বা হয়ে থাকে, তবে যতোটা মনে পড়ছে কুনফুসিয়াসিজমেও তো সম্ভবত কোন পরকাল বা স্বর্গের ব্যাপার নেই। তারপরও তারা এটা করল কেন? তার মানে কি তবে এই যে যুগে যুগে না শতকে শতকে মানুষের পালিত ধর্ম যাই বুঝিয়ে থাকুক না কেন, মনে মনে মানুষ মৃত্যুর পরে অনন্ত শান্তির জায়গা স্বর্গকে কল্পনা করেছেই। না হয় এই চায়নিজরা হাজার হাজার বছর ধরে কুনফুসিয়াসিজম, তাওইজম বা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী হওয়ার পরও কেন এই জায়গাটির নাম রেখেছিল তিয়েন আন মেন স্কয়ার যার সাথে জড়িয়ে আছে স্বর্গ বিষয়ক ধারণা? এমন কি সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মাধ্যমে মাও, প্রাচীন রীতি নীতি, সংস্কার, বিশ্বাস নিয়ে গড়ে ওঠা চায়নিজ সংস্কৃতির খোল নলচে পাল্টে দেবার চেষ্টা করলেও, এই জায়গাটির নাম বদলায়নি। অথচ সেটাই তো করা যৌক্তিক ছিল, যেহেতু নাস্তিক্যবাদি দর্শনের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা সমাজতান্ত্রিক দেশে তো কাউকে স্বর্গের লোভ দেখানোর কোন প্রয়োজনই নাই।
ঠিক তখনি চোখ পড়ল ফাঁকটা। মনে হল, আরে এটাই তো মনে হচ্ছে সমাজতান্ত্রিক চিন্তাভাবনার একটা বিরাট দুর্বলতা। মানুষ, হোক সে যে কোন দেশের, সংস্কৃতির বা ধমের্রই অনুসারী, তারা তো মনে হচ্ছে মরার পরেও স্বর্গসুখ কামনা করে তীব্রভাবে। কিন্তু সমাজতান্ত্রিক ভাবনা, সে ব্যাপারে তো একদম স্পিকটি নট। এ কারণেই কি তাহলে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর পর কিছু মানুষের প্রাগ্রসর চিন্তার ফলে যে সমাজতন্ত্রের বিস্তার ঘটেছিল দিকে দিকে, বিশেষত ইউরোপে, গত শতকের ৯০এর দশকে তা ভেঙ্গে পড়েছিল হুড়মুড় করে?
“শোন, এখানে আর দেরী করা যাবে না। আর তুমি তো মিউজিয়মের ঐ অংশও দেখতে চাইছ, সুতরাং চল এখান থেকে বেরিয়ে পড়ি এবার।” পাশাপাশি হাঁটতে থাকা স্ত্রীর এই অলঙ্ঘনীয় বানী কানে যেতেই নীরবে সায় দিয়ে দ্রুত এই প্রাচীন মৃত্যুপুরি এলাকা পিছু ফেলে এগুতে থাকলাম দরজার দিকে, ডানে বাঁয়ে আর না তাকিয়ে।
অতএব দ্রুতই প্রাচীন চায়না পেরিয়ে দ্রুত সেই সুবিশাল হলঘরের মাঝামাঝি জায়গায় পৌঁছে, সবাইকে ওখানে অপেক্ষায় থাকতে বলে, রেষ্টুরেন্ট বা ক্যান্টিনের খোঁজে যেতে চাইতেই, দু’পুত্র সটান জানিয়ে দিল, যে তারা বাইরে গিয়েই খাবে, আর খাবে ওরা অন্য কোন রেস্টুরেন্টে নয়, ম্যাক বা বার্গার কিং বা কে এফ সি তেই। পরিষ্কার হলো এতে তাদের এখানকার ক্যান্টিন বা রেস্টুরেন্টের ব্যাপারে এই অনীহাটি।
পুত্রদের সিদ্ধান্ত শুনতে শুনতে আশে পাশে তাকিয়ে দেখি যে, কিছুটা দূরে দেয়াল ঘেঁষে মেঝেতে বসে চায়নিজ দুই পরিবারের ছোট বড় সবাই খাচ্ছে কিছু একটা। তা দেখে মনে হল এখানে হয়তো খাওয়া দাওয়া করা না করা নিয়ে কড়া কোন বিধি নিষেধ নাই। অতএব লাজুকে বললাম যে ও যেন ব্যাগে বয়ে বেড়ানো আপদকালীন খাদ্যভাণ্ডার থেকে পুত্রদের কিছু খাইয়ে নেয়। “নাহ আমাদের খিদা লাগেনি” আমার মুখের কথা শেষ হতে না হতেই জানিয়ে দিল দীপ্র, যার প্রতি তাৎক্ষণিক জোর সমর্থন জানাল অভ্র।
লেখক : প্রাবন্ধিক, সংগঠক

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়
পরবর্তী নিবন্ধবৃক্ষ : দূর প্রহরের স্মৃতি ও সত্তার উজ্জ্বল উদ্ধার