ড. মইনুল ইসলামের কলাম

| বৃহস্পতিবার , ৭ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

২৬ মার্চ পদ্মা সেতুর সড়কপথ খুলে দিতে অসুবিধে কোথায়?
বাংলাদেশের জনগণের স্বপ্নের পদ্মা সেতু ২০২২ সালের জুনে চালু করা হবে বলে সরকারীভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। একইদিনে সেতুর সড়কপথ এবং রেলপথ খুলে দেওয়া হবে বলে বারবার জনগণকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে, যদিও কাজের অগ্রগতি বিবেচনায় সেতুর রেলপথের কাজে আরও বিলম্ব হবে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। গত ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর সেতুর মূল কাঠামোর ৪১টি স্প্যানের শেষ স্প্যানটি বসানোর কাজ সম্পন্ন হওয়ায় ঐদিন সারা দেশে মহোৎসব পালন করা হয়েছিল। সেতুর মূল অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার পর বাকি অংশের কাজগুলো শেষ করার জন্যে দেড় বছর কেন লাগবে সেটা আমার মত আমজনতার কাছে একটা বিস্ময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত আগস্ট মাসেই সেতুর সড়কপথের পীচ ঢালাই ছাড়া মূলকাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি এসে সেতুর প্যারাপেট স্থাপনের কাজও সম্পন্ন হওয়ার ঘোষণা এসেছে সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। ৩ অক্টোবর সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবাইদুল কাদের ঘোষণা করলেন নভেম্বর মাসে সেতুর পীচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করা হবে। এখানেই আমার ঘোর আপত্তি। প্যারাপেট স্থাপন এবং পীচ ঢালাইয়ের কাজ একইসাথে চালিয়ে যাওয়া টেকনিক্যালি খুবই সম্ভব ছিল, কিন্তু কী অজ্ঞাত কারণে নভেম্বর মাস পর্যন্ত পীচ ঢালাইয়ের জন্য অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো সেটাই আমি বুঝতে পারছি না। আষাঢ়-শ্রাবণ মাসের ঘোর বর্ষার সময়ে পীচ ঢালাইয়ে অসুবিধে হলেও শরৎ কালের শেষ নাগাদ বৃষ্টির ঘনত্ব (ফ্রিকোয়েন্সি), পরিমাণ এবং স্থায়িত্ব কমে আসে। আশ্বিন-কার্তিক মাসে নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড়ের সিগন্যাল দেওয়া হলে কয়েকদিন যে পরিমাণ বৃষ্টি হয় তাতে হয়তো ঐদিনগুলোর কিছুটা সময় পীচ ঢালাই বন্ধ রাখতে হতে পারে। কিন্তু, সাধারণভাবে যেহেতু অক্টোবর মাসে সারাদিন মুষলধারে বৃষ্টির আশংকা অনেকখানি কমে যায় তাই অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অনায়াসে সেতুর পীচ ঢালাইয়ের কাজ শুরু করা যেতো। আমি জোর দিয়ে বলছি, অক্টোবরে পীচ ঢালাই পূর্ণোদ্যমে শুরু হলে ফেব্রুয়ারী মাসের মধ্যে (পাঁচ মাসে) কিংবা নিদেনপক্ষে মার্চের ১৫ তারিখের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে পীচ ঢালাই সম্পন্ন করে ২৬ মার্চ সেতুর সড়কপথ উদ্‌্েবাধন করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। এজন্যেই আমার দাবি, আগামী ২৬ মার্চ ২০২২ তারিখে আমাদের স্বাধীনতা দিবসে পদ্মা সেতুর সড়কপথ উদ্বোধন করার সরকারী ঘোষণা প্রদান করা হোক। পদ্মাসেতু কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে সেতুর উদ্বোধন কেন জুন মাস পর্যন্ত পিছাতে চাইছেন তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। তিন মাস আগে সেতুর সড়কপথ খুলে দিলে অর্থনীতিতে যে বিপুল ইতিবাচক অভিঘাত সৃষ্টি হবে তা কি সেতু কর্তৃপক্ষ ভাল করে হিসাব করে দেখেছেন? এমনিতেই গত ছয় বছরে বহুবার ঠিকাদারদের একাধিক ভুলের কারণে সেতুর নির্মাণকাজ কয়েক দফা বিলম্বিত হয়েছে, যার ফলে সেতুর নির্মাণব্যয়ও কয়েক’শ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাঠকদের অনেকে হয়তো জানেন না, কয়েক বছর আগে সেতুর অনেকগুলো স্ট্রিংগার মাওয়া প্রান্তের পদ্মার নদী ভাঙনের কারণে নদীতে ভেসে যাওয়ায় সেগুলো আবার নেদারল্যান্ডস (নাকি বেলজিয়াম) থেকে পুনর্নির্মাণ করে আনতে হয়েছিল। ফলে, সেতুর ব্যয়ে কয়েক’শ কোটি টাকা অপচয় যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি নির্মাণকাজ এক বছরেরও বেশি পিছিয়ে গিয়েছিল। আবার, নদী শাসনের কাজের পরিমাণ, ধরন এবং প্রাক্কলিত ব্যয় হিসাব করতে ভুল হওয়ায় ঐ খাতের ব্যয়ও কয়েক হাজার কোটি টাকা বেড়ে গেছে। সবশেষে আমরা দেখলাম, নদীতীরের কয়েকটি পিলারের ডিজাইনে ভুল হওয়ায় সেতু থেকে তীরের স্থলভাগে ট্রেন চলাচলে বিঘ্নসৃষ্টির আশংকায় ঐ পিলারগুলো ভেঙে আবার রি-ডিজাইন করে নির্মাণ করতে হচ্ছে। উপরের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এবং ঠিকাদারের অদক্ষতার মাশুল গুণতে হয়েছে সরকারকে, যার ফলশ্রুতিতে সেতুর নির্মাণকাজও কয়েক বছর বিলম্বিত হয়ে গেছে। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, এসবের সম্মিলিত যোগফল হিসেবে এহেন বিলম্বের পাশাপাশি সেতুর প্রকৃত নির্মাণ ব্যয়ও অরিজিনাল প্রাক্কলনের চাইতে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা বেশি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পদ্মা সেতু বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে অর্থায়িত মেগাপ্রজেক্ট। এই সেতু দেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ‘গেম-চেঞ্জারের ভূমিকা’ পালন করবে। এই প্রকল্প সম্পন্ন করায় দীর্ঘ বিলম্ব এবং প্রকল্পের ব্যয় নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা-কালক্ষেপণের মাধ্যমে বাড়িয়ে ফেলা জাতিদ্রোহিতার শামিল। তেমনিভাবে, সেতুর পীচঢালাই দীর্ঘায়িত করে সেতুর সড়কপথ চালু তিনমাস পিছিয়ে দেওয়াও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সুবিবেচনাবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। একটি বিষয়কে যথাযথ গুরুত্ব দিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেতুর সড়কপথ খুলে দেওয়ার যুক্তিটা অনেকখানি জোরদার হয়: গত এক বছরে চারবার সেতুর পিলারে মাওয়া-জাজিরা রুটে চলাচলকারী ফেরি আঘাত করেছে, আর একবার সেতুর নিচে চলাচলরত আরেকটি ফেরির মাস্তুল সেতুর স্প্যানের সাথে ধাক্কা লেগে ভেঙে গেছে। এই দুর্ঘটনাগুলোর কোনটাই যদিও সেতুর কাঠামোতে বড় কোন ভাঙন ধরাতে পারেনি, তবুও মাওয়া-জাজিরা পথের ফেরি চলাচল যত তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দেওয়া যায় ততই বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা দূর করা যাবে। বলা বাহুল্য, পদ্মা সেতুর সড়কপথ খুলে গেলে আর ফেরি চলাচল চালু রাখার প্রয়োজন থাকবে না। আর একটা কথা, উদ্বোধনের দিনেই সেতুর রেলপথও চালু করতে হবে কেন? ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা-যশোহর রেলপথ একেবারেই স্বতন্ত্র একটি প্রকল্প। চল্লিশ হাজার কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে চীনা ঋণে অর্থায়িত ও নির্মীয়মাণ এই রেলপথটি মহাসড়কের গুরুত্বের তুলনায় অনেক কম গুরুত্বের দাবিদার, মহাসড়ক চালু হওয়ার পর রেলপথের গুরুত্ব আরো কমে যাবে। ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা-পায়রা এবং ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা-যশোহর-খুলনা-মংলা মহাসড়ক দুটো দেশের অর্থনীতির দ্বিতীয় সর্বোত্তম যোগাযোগ ও শিল্পায়ন করিডোর হিসেবে গড়ে উঠতে যাচ্ছে। পাঠকদেরকে এ-পর্যায়ে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ২০১২ সালের ৩০ জুন তারিখে বিশ্ব ব্যাংক যখন সেতু নির্মাণে বরাদ্দ ১.২ বিলিয়ন ডলারের ঋণ বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল, তখন ২০১২ সালের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত কলামে বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদদের মধ্যে আমিই প্রথম ঐ সিদ্ধান্তকে ‘শাপে বর’ আখ্যায়িত করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা যে বাংলাদেশের রয়েছে তা যুক্তিসহকারে ব্যাখ্যা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এই সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আকুল আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমি গর্বভরে স্মরণ করছি যে ঐ জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞ-পন্ডিতদের সাবধান বাণী এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কটুকাটব্যকে উপেক্ষা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে ‘নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের’ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে সারা বিশ্বকে বিস্ময়ে বিমোহিত করেছিলেন। দেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত ছিল বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের উজ্জ্বল অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের যাত্রাপথে আত্মশক্তিতে এগিয়ে যাওয়ার অদম্য সংগ্রামে বিশ্ব ব্যাংকের মত বিদেশী ‘বড়ভ্রাতাদের’ প্রভুত্বকামী নিয়ন্ত্রণ বহাল রাখার নগ্ন প্রয়াসকে ছুঁড়ে ফেলার সবচেয়ে সাহসী পদক্ষেপ। তাঁর ঐ সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশের আত্মনির্ভর অর্থনীতি বিনির্মাণের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে সাহসী মাইলস্টোন’ হিসেবে ইতোমধ্যেই চিịিত হয়েছে। যেসব পন্ডিতম্মন্য, পরানুগ্রহকামী, উζবৃত্তি-লোভী বিশেষজ্ঞ ঐ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে ‘হঠকারি’ ঠাউড়েছিলেন তাঁদেরকে প্রশ্ন করতে চাই, বাংলাদেশকে যে এখন ‘ইমার্জিং টাইগার’ অভিহিত করা হচ্ছে তার ভিত্তি কি ঐ পরমসাহসী পদক্ষেপটি স্থাপন করেনি? ঐ সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর এক বছরের জন্যও কি দেশের প্রবৃদ্ধি শ্লথ হয়েছে? দেশের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস ঐ সিদ্ধান্তের কারণে এক বছরও কি সংকটাপন্ন হয়েছে? দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের চমকপ্রদ প্রবৃদ্ধি কি একবারও ব্যাহত হয়েছে? বিশ্বের কাছে জাতির মিসকিনসুলভ পরনির্ভরতা এবং ইমেজের সংকট ঐ একটি সিদ্ধান্তেই চিরতরে বদলে গেছে ইনশাআল্লাহ।
আমাদের সবার জানা উচিত, পদ্মা ুসেতু শুধু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অপেক্ষাকৃত বঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে রাজধানী ঢাকা এবং চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক লাইফলাইনের সাথে সংযুক্ত করবে না, এটা পুরো অর্থনীতিকে আক্ষরিক অর্থে একসূত্রে গাঁথার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ও অনুঘটকের ভূমিকা পালন করবে। এটা ঢাকা থেকে মাওয়া-জাজিরা-ভাঙ্গা-পায়রা-কুয়াকাটা-যশোহর-খুলনা-মংলা পর্যন্ত সুবিস্তৃত ‘ইকনমিক করিডোর’ হিসেবে দেশের অর্থনীতির দ্বিতীয়-সর্বোত্তম লাইফলাইন হয়ে উঠবে। দেশের শিল্পায়নে দেশীয় এবং বৈদেশিক পুঁজি আকর্ষণে ঢাকা-কুমিল্লা-মিরসরাই-চট্টগ্রাম কর্ণফুলী টানেল-আনোয়ারা-মাতারবাড়ী-কঙবাজার-টেকনাফের মত আরেকটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠতে এই ইকনমিক করিডোরের এক দশকও লাগবে না। কারণ, মংলা ও পায়রা বন্দর দুটোর সামুদ্রিক যোগাযোগ সুবিধা ২০২২ সালেই পেয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নির্মীয়মাণ মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর থেকেও দূরত্বের দিক্‌ থেকে এই করিডোরটি বেশি ‘কস্ট-ইফেক্টিভ’ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপরন্তু, আন্তঃদেশীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যদি ভবিষ্যতে গতি সঞ্চারিত হয় তাহলে এই করিডোরটি ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোরের চাইতেও অনেক বেশি সুবিধাজনক বিবেচিত হবে। এমনকি ঢাকামুখী অভিবাসন-স্রোত নিরসনেও উপরে উল্লিখিত করিডোর তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে। এই সেতুর ফলে দেশের জিডিপি ১.২৬ শতাংশ এবং দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাংশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুই শতাংশ বাড়বে বলে বিশেষজ্ঞরা প্রাক্কলন করেছেন। এই সেতু দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের নানা ডাইমেনশানে চমকপ্রদ গতিশীলতার সঞ্চার করবে, দেশের আঞ্চলিক বৈষম্যের দ্রুত নিরসনেও অবদান রাখবে। দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের জনগণের জীবন ও জীবিকা গত কয়েক দশক ধরে বারংবার সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, জলাবদ্ধতা, লবণাক্ততা এবং বন্যার মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়ে যে দুর্দশার কবলে পতিত হয়েছে এই সেতুর অর্থনৈতিক সুফল পেয়ে অঞ্চলটি তা থেকে মুক্তি পেয়ে পুনরুজ্জীবিত হবে। এজন্যেই আমার আকুল আবেদন, আগামী রমজান এবং ঈদুল ফিতরের আগেই যেন সড়কপথটির সুফল দেশের অর্থনীতি ও জনগণ এবং বিশেষত দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের জনগণ পেতে শুরু করে সেজন্যে ২৬ মার্চ পদ্মা সেতুর সড়কপথ উদ্বোধন ঘোষণা করা হোক, রেলপথের কাজ ধীরেসুস্থে চলতে থাকুক।

লেখক : সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি; একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ও অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাল আজ কাল
পরবর্তী নিবন্ধউইন্ডোজ ১১ চালিত নতুন ল্যাপটপ