ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ব্লিংকেনের উদ্বেগ

| বুধবার , ১২ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের ওপর ‘সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের’ ঘটনার পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সোমবারের বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরে গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়। বিবৃতিতে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের উপর সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, যখন আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে গভীর করতে চাইছি তখন বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ। খবর বিডিনিউজের।

সোমবার স্থানীয় সময় দুপুরে ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র দপ্তরে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক হয়। এদিকে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে গ্রেপ্তার এবং পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে সোমবার ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয় মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলকে। জবাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্য আইনগুলোর একটি’ হিসাবে আখ্যায়িত করেন তিনি।

তিনি বলেন, সর্বশেষ বৈশ্বিক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ ১৮০ দেশের মধ্যে ১৬২ অবস্থানে ছিল, যা আগের বছরের তুলনায় ১০ ধাপ নিচে। এবং এই স্কোরের সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, যা সাংবাদিকদের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্য আইনগুলোর একটি।

পররাষ্ট্র দপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, এ আইন নিয়ে আমরা আমাদের উদ্বেগ খুব স্পষ্টভাবে জানিয়েছি। কোনো জাতি ও তার গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য স্বাধীন গণমাধ্যম এবং ওয়াকিবহাল নাগরিক হচ্ছে মুখ্য। গণমাধ্যম ও এর বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির পাশাপাশি এটা যে ক্ষতি করবে তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।

র‌্যাবের কর্মকাণ্ড নিয়ে ডয়চে ভেলের তথ্যচিত্র এবং একজন সাক্ষাৎকারদাতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে এক প্রশ্নে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমি আবারও বলছি, যে কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীকেই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে এবং এটা আমাদের প্রত্যাশা যে, বাংলাদেশ সরকার এই প্রতিবেদন ও ভিডিওর বিষয়বস্তু খতিয়ে দেখবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ইন্তেকাল
পরবর্তী নিবন্ধঅবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের জোরালো উদাহরণ তৈরি করুক বাংলাদেশ