ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরাতে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ

প্রস্তুতি সভায় মেয়র

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৪ মে, ২০২৩ at ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ

নগরের উপকূলীয় এলাকা এবং পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, ভোর থেকে ৭টি যানবাহনে করে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ত্যাগ করে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের সরে যাওয়ার জন্য আমি নিজেও মাইকিং করেছি। প্রয়োজনে বিকাল পাঁচটার পর প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শক্তি প্রয়োগ করে হলেও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী জনগণকে সরিয়ে নিবে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানলে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে গৃহীত সিদ্ধান্তের অগ্রগতি পর্যালোচনায় অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় এ কথা বলেন মেয়র। গতকাল শনিবার দুপুরে টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলরবৃন্দ ছাড়া চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, আনসার, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সরকারিবেসরকারি সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্য করে মেয়র বলেন, আমি আপনাদের নির্দেশ দিচ্ছি আপনারা স্বস্ব থানার সাথে যোগাযোগ করে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে থাকা মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। মেয়র বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার জন্য দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত জারির সাথে সাথেই আমরা সভা করে একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়ন করেছি। সকাল থেকে সার্বিক পরিদর্শনে মনে করি মোখা মোকাবেলায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রস্তুত।

চসিকের প্রস্তুতি তুলে ধরে বলেন, কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে মানুষকে তথ্য সেবা দেয়ার পাশাপাশি ৯০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ৫০টি মেডিকেল টিম আর দুই হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকেও প্রয়োজনে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ, আনসার, রেড ক্রিসেন্ট আর বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থা চট্টগ্রামবাসীকে এ দুর্যোগ থেকে বাঁচাতে আমাকে দিনরাত পরিশ্রম করে সাহায্য করছে।

এর আগে মেয়র নগরের দামপাড়ায় চসিক বিদ্যুৎ উপবিভাগ ভবনের নিচ তলায় খোলা কন্ট্রোলরুম পরিদর্শন করেন। এরপর মেয়র পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, আজমল আলী ঘাট, রাশমনি ঘাটসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও আশ্রয়কেন্দ্রসমূহ পরিদর্শন করেন এবং বিকাল পাঁচটার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে পর্যটকসহ সব মানুষকে সরিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন।

মেয়র হালিশহর বেড়িবাঁধে খালের একটি কাটা অংশে জোয়ারের পানি জনবসতিতে ঢুকে পড়ার ঝুঁকি থাকায় সে অংশে স্কেভেটর দিয়ে ভরাট করে দেয়ার চলমান কাজ তদারকির পর লিংক রোডের পাশে স্লুইচ গেট এলাকা পরিদর্শন করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৮০ হাজার লোককে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজারে ১ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে