জুম্’আর খুতবা

অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ বদিউল আলম রিজভি | শুক্রবার , ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:০০ পূর্বাহ্ণ

সূরা ফাতিহা’র ফযীলত ও বৈশিষ্ট্য

সূরা ফাতিহা প্রসঙ্গ:
মহাগ্রন্থ আলকুরআনের ১১৪টি সূরার মধ্যে সূরা ফাতিহা একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা, এ সূরার গুরুত্ব ও ফযীলত সম্পর্কে অসংখ্য হাদীস শরীফ ও তাফসীরের গ্রন্থসমূহে অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়।
ফাতিহার নামকরণ: ইমাম রাগিব ইস্পাহানী (র.)’র বর্ণনা মতে ফাতিহা শব্দটি আরবি “ফাতহুন” শব্দ থেকে নির্গত এর অর্থ কোন আবদ্ধ জিনিসকে খুলে দেওয়া, বিপদাপদ ও প্রতিবন্ধকতা দূর করাকে ফাত্‌হ বলা হয়। ( আল মুফরাদাত, পৃ: ৩৭)
এ অর্থের আলোকে এমন বিষয়কে ফাতিহা বলা হয়, যা সমস্যা, বিপদ ও প্রতিবন্ধকতা দূরীভূত করে সম্পর্ক স্থাপনের পথ সুগম করে। সংক্ষেপে বলা যায় যে ফাতিহা অর্থ আরম্ভ করা, উদ্বোধন, উদঘাটন ও শুরু করা। এটিকে ফাতিহাতুল কুরআন বা কুরআনের শুরু বা সূচনা সূরা হিসেবে অভিহিত করা হয়। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর সর্ব প্রথম সূরা আ’লাক এর প্রথম পাঁচটি আয়াত অবর্তীণ হয়। তবে একটি পূর্ণাঙ্গ সূরা হিসেবে সূরা ফাতিহাই প্রথম অবর্তীণ হয়। এ সূরার দ্বারা কুরআনের উদ্বোধন হয়। এ সূরার আয়াত সংখ্যা সাত, পদ সংখ্যা সাতাশ, বর্ণ একশ চল্লিশ।
সূরা ফাতিহার অনুবাদ:
১. সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি মালিক সমস্ত জগদ্বসীর। ২. পরম দয়ালু করুণাময়। ৩. প্রতিদান দিবসের মালিক। ৪. আমরা তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি। ৫. আমাদের কে সোজা পথে পরিচালিত করো। ৬. তাঁদেরই পথে যাঁদের উপর তুমি অনুগ্রহ করেছো। ৭. তাদের পথে নয় যাদের উপর গযব নিপতিত হয়েছে এবং পথভ্রষ্টদের পথেও নয়। (তরজমা কানযুল ঈমান, সূরা: ফাতিহা আয়াত: ১-৭)
সূরা ফাহিতার বিশটি নাম, ফযীলত ও বৈশিষ্ট্য:
১. ফাতিহা এ নামটি সবচেয়ে প্রসিদ্ধ তেইশ বৎসর ব্যাপী কুরআন অবতরণ কালে এটিই সর্ব প্রথম অবতীর্ণ সূরা। ২. ফাতিহাতুল কিতাব (কিতাবের সূচনা) এ নামের দ্বারা বুঝা যায় এ সূরার মাধ্যমে কুরআনের সূচনা হয়েছে। হযরত উবাদা ইবনে সামিত রাদ্বিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করেনি তাঁর নামায হয়নি। (মুসনাদে আহমদ, খন্ড: ৫, পৃ: ৩২২, তাফসীর ইবনে কাসীর, খন্ড: ১ম, পৃ: ১২)
৩. উম্মুল কুরআন (কুরআনের মূল), ৪. উম্মুল কিতাব (কিতাবের মূল), এ দুটি নামও হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমানিত। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, যে ব্যক্তি স্বীয় নামাযে উম্মুল কুরআন পড়েনি তার নামায হবেনা। (মুসনাদে আহমদ, খন্ড: ৫, পৃ: ৩২২)
৫. সূরাতুল কানয (ভান্ডার সূরা):
আরবিতে কানয অর্থ ভান্ডার, এ নামকরণের বহুবিধ তাৎপর্য রয়েছে, এ সূরা জাহেরী, বাতেনী ইলম, হিদায়ত, আল্লাহর গুপ্ত ও কুদরতী রহস্যাবলীর ভান্ডার। এ সূরা আল্লাহর পক্ষ থেকে নবীজির উপর অবর্তীণ এমন এক বিশেষ জ্ঞান ভান্ডার, যা আল্লাহ তা’আলা অন্য কোনো নবীদেরকে দান করেননি। ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল, ইমাম বোখারী, ইমাম তিরমিযী, ইমাম আবু দাউদ, ইমাম নাসাঈ, ইমাম ইবনে মাজাহ, ইমাম মালেক, ইমাম ওয়াকিদী এবং অন্যান্য ইমামগণ কর্তৃক সহীহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, হযরত ওবাই ইবনে কা’ব ও হযরত আবু সাঈদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত হয়েছে, হযরত ওবাই ইবনে কা’ব বর্ণনা করেন, আমি নামাযরত ছিলাম, এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আহবান করলেন, আমি কোনো সাড়া দিইনি, নবীজি পূনরায় আহবান করলেন, আমি দ্রুত নামায সমাপ্ত করে নবীজির খিদমতে উপস্থিত হলাম, সালাম আরজ করলাম, নবীজি বললেন, এতক্ষণ কিসের কাজে নিয়োজিত ছিলে? কেনো সাড়া দাওনি! আরজ করলাম, হুযুর নামাযে ছিলাম, নবীজি এরশাদ করেন, তুমি কি আল্লাহর এ নির্দেশ শুননি, হে ঈমানদারগন, আল্লাহ ও রাসূলের আহবানে হাজির হও যখন রসূল তোমাদেরকে সেই বস্তুর জন্য আহবান করেন যা তোমাদেরকে জীবন দান করবে। (সূরা: ৮, আনফাল, আয়াত: ২৪)
আরজ করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ভূল হয়ে গেলো, আগামীতে এমনটি আর হবেনা। অত:পর নবীজি বললেন, শুনো! তোমাদেরকে এমন এক সূরা সম্পর্কে বলছি “আল্লাহর শপথ যার কুদরতী হস্ত মুবারকে আমার প্রাণ, আল্লাহ তা’আলা এ সূরার সদৃশ্য তাওরীত, ইঞ্জিল, যবুর এবং কুরআনেও অনুরূপ সূরা নাযিল করেননি। (তিরমিযী, খন্ড: ২য়, পৃ: ১১৫)
৬. সূরা নূর: (জ্যেতির সূরা)
একদা এক ফেরেস্তা নবীজির দরবারে রিসালতে উপস্থিত হয়ে আরজ করলেন ইয়া রাসূলাল্লাহ? আপনি সন্তুষ্ট ইবেন। আপনাকে এমন দুটি নূর দান করা হয়েছে, যা আপনার পূর্বের কোন নবীকে দান করা হয়নি একটি সূরা ফাতিহা, দ্বিতীয় সূরা বাকারার শেষের আয়াত সমূহ। (মুসলিম শরীফ, খন্ড: ১ম, পৃ: ২৭১)

৭. আস সাবউল মাসানী: সাত আয়াত সম্বলিত বারবার পঠিত সূরা, এ নাম প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে, “এবং আমি নিশ্চয় আপনাকে সপ্ত আয়াত প্রদান করেছি যে গুলো পুন:পুন আবৃত্ত হয় এবং শ্রেষ্ঠত্ব সম্পন্ন ক্বোরআন। (সূরা: ১৫ হিজর, আয়াত: ৮৭)
সাত আয়াত সম্বলিত এ সূরা হিজরতের পূর্বে মক্কা মুকাররমায় ও হিজরতের পরে মদীনা মুনাওয়ারায় দু’বার অবতীর্ণ হয়, এ কারণে এটিকে সাবউল মাসানী বলা হয়।
৮. সূরাতুল হামদ ( প্রশংসার সূরা):
এ সূরার প্রারম্ভে আলহামদু শব্দ রয়েছে, এ জন্যই সূরাতুল হামদ নামে অভিহিত করা হয়। আরবিতে “আল হামদুলিল্লাহ” লিখতে আটটি আরবি বর্ণ রয়েছে, বেহেস্তের দরজা আটটি। যে ব্যক্তি ইখলাসের সাথে সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করবে সে জান্নাতের আটটি দরজা দিয়েই প্রবেশ করার অধিকারী হবেন। (তাফসীরে নাঈমী, খন্ড: ১ম)
৯. সূরাতু সালাত:
সূরা ফাতিহা নামাযে পড়া ওয়াজিব। তা পরিত্যাগ করলে নামায পরিপূর্ণ হবেনা। অন্যসব সূরা ও আয়াত সমূহ একটির পরিবর্তে অন্যটি পড়া যাবে কিন্তু সূরা ফাতিহার পরিবর্তে অন্য কোনো সূরা পড়া যাবেনা। এটি নামাযের জন্য এতই গুরুত্বপূর্ণ যে এটি ছাড়া নামাযই পরিপূর্ণ হয় না।
১০. সূরা ওয়াফিয়া:
আরবিতে ওয়াফিয়া শব্দের অর্থ পূর্ণ করা, এ সূরার বিশেষত্ব হচ্ছে, নামাযের প্রতিটি রাকাতে এ সূরাটি পুরোটা পাঠ করতে হবে। অর্ধেক পড়া জায়েজ নেই। যে সব সূরার আয়াত কমপক্ষে ছয় বা তদুর্ধ্ব সেগুলো ভাগ করে দুরাকাতে অর্ধেক অর্ধেক পড়া যাবে। কিন্তু সূরা ফাতেহার ক্ষেত্রে এটা জায়েজ নেই। এটি ইমাম ছালভীর অভিমত, ইমাম ফখরুদ্দীন রাযীও তাফসীরে কবীরিতে এ মত বর্ণনা করেছেন।
১১. সূরা শিফা:
এ সূরা সকল রোগের শিফা স্বরূপ। ইমাম বায়হাকী শুআবুল ঈমানে সহীহ সূত্রে বর্ণনা করেন, প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, সূরা ফাতিহা প্রত্যেক রোগ থেকে শিফা দানকারী। (তাফসীরে কবীর, খন্ড: ১ম, পৃ: ১৭৬)
১২. সূরা বুরুইয়াহ:
ওয়াকয়ুন অর্থ রক্ষা পাওয়া ও নিরাপদে থাকা, হাদীস শরীফে হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যখন তোমরা বিচানায় শয়ন কালে সূরা ফাতিহা ও সূরা ইখলাস পাঠ করবে তখন মৃত্যু ব্যতীত সকল কিছু থেকে নিরাপদে থাকবে। (ইবনে কাসীর, খন্ড: ১ম, পৃ: ১২)
১৩. সূরা: কাফিয়াহ, (প্রাচুর্য সম্পন্ন সূরা), ১৪. সূরা শাফিয়াহ ( আরোগ্য দায়ক), ১৫. সূরা দুআ (প্রার্থনার সূরা), ১৬. তা’লীমুল মাসআলা (মাসআলা শিক্ষা), ১৭. সূরাতুল মুনাজাত (মুনাজাতের সূরা), ১৮. সূরাতুত তাফভীদ (আত্মনিবেদনের সূরা), ১৯. সূরাতুস সাওয়াল (যাঞ্চার সূরা), ২০. ফাতিহাতুল ক্বোরআন (কুরআনের সূচনা)।
মাসআলা: ইমাম ও একাকী নামায আদায় কারীর জন্য নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করা ওয়াজিব। তবে ইমামের পিছনে মুক্তাদি চুপ থাকবে, হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, ইমামের পাঠ করাই মুক্তদির পাঠ। পবিত্র কুরআনে মুক্তাদীকে নিরব থাকার ও ইমামের কিরআত শ্রবণ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মাসআলা: জানাযার নামাযে দুআ স্মরণ না থাকলে দুআর নিয়তে সূরা পাঠ করা জায়েজ, কিরআতের নিয়তে জায়েজ নয়। (আলমগীরি, কানযুল ঈমান ও খাযাইনুল ইরফান)
সূরা ফাতিহার বিষয় বস্তু:
এ সূরায় মহান আল্লাহর প্রশংসা, তাঁর প্রতিপালকত্ব, দয়া অনুগ্রহ করুণা, বিচার দিবসে তার কর্তৃত্ব, ইবাদতের একক সত্বা, বান্দাদের সঠিক পথের নির্দেশনা, ইবাদত তারই জন্য র্নিদ্দিষ্ট করণ, সাহায্য ও হিদায়ত প্রার্থনা, নিয়ামত প্রাপ্ত বান্দাদের পথে চলার শিক্ষা, পথভ্রষ্ট ও অভিশপ্তদের পথ বর্জন করা ও ঘৃণা করার শিক্ষা বিঘোষিত হয়েছে। এক কথায় ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির লক্ষ্যে বান্দার করণীয় ও বর্জনীয় নির্দেশনা এ সূরায় আলোকপাত হয়েছে।
সূরা ফাতিহায় বান্দার আবেদন ও আল্লাহর জবাব:
প্রসিদ্ধ সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা’আলাএরশাদ করেছেন, নামায আমার ও বান্দার মধ্যে অর্ধেক করে ভাগ করা হয়েছে। আমার বান্দার ভাগে তাই রয়েছে যা সে চায়। বান্দা যখন “আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন” বলে জবাবে আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে, যখন বান্দা বলেন, “আর রাহমানির রাহিম” তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার মহিমা বর্ণনা করেছে, যখন বান্দা “মালিকি ইয়াও মিদ্দীন” বলে আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার মাহাত্ন্য বর্ণনা করেছে। যখন বান্দা “ইয়্যাকানাবুদু ওইয়াকানাছতাঈন” বলে আল্লাহ বলেন, এটা তো আমার ও আমার বান্দার মধ্যে পারস্পরিক ব্যাপার, আমার বান্দা তাই পাবে যা সে চেয়েছে। এর পর বান্দা “ইহদিনা থেকে দোয়াল্লীন” পর্যন্ত বলে, তখন আল্লাহ বলেন, এসব আমার বান্দার জন্য, আমার বান্দা যা চায় তাই তাকে দেয়া হবে। (মুসলিম, হাসীন নং: ৩৯৫)
হে আল্লাহ! পবিত্র কুরআনের হিদায়ত ও রহমত দান করুন। আমাদেরকে আপনার অনুগ্রহ প্রাপ্ত বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত করুন। নিশ্চয়ই তিনি মহান দানশীল, রাজাধিরাজ, পুণ্যময় অনুগ্রহশীল ও দয়ালু।
লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী); খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।
মুহাম্মদ আবদুল করিম
লাকসাম, চাঁদপুর, কুমিল্লা।

প্রশ্ন: কবর যিয়ারতে কিবলামুখী হয়ে নাকি? কবরমুখী হয়ে মুনাজাত করবে? জানালে উপকৃত হব।
উত্তর: কবর যিয়ারতে ক্বিবলা মুখী হয়ে মুনাজাত করবে নাকি কবরমুখী হয়ে যিয়ারত করবে? এর নিয়ম পদ্ধতি সম্পর্কে অসংখ্য হাদীস ও মুজতাহিদ গনের বর্ণনা পাওয়া যায়। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, “হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনা মুনাওয়ারার কবরসমূহ অতিক্রমকালে কবর বাসীদের দিকে মুখ করে সালাম পেশ করতেন এভাবে যে হে কবরবাসী! তোমাদের উপর সালাম বর্ষিত হোক। (তিরমিযী, খন্ড:১ম, পৃ: ২০৩)
এ প্রসঙ্গে ইমাম আবু হানিফা (রা.)’র অভিমত হলো, কবর যিয়ারতের দুআর সময় কবরমুখী হয়ে দুআ করা উত্তম। সূত্র: আল-বাছায়ের লি মুনকারিত তাওয়াচ্ছুলে বি আহলিল মাক্বাবির, পৃ: ৮৯ কৃত: আল্লামা হামদুল্লাহ দাজুভী (র.)।
প্রিয় নবীর রওজা শরীফ যিয়ারত কালে খলিফা আবু জাফর আল মনসুর ইমাম মালেক (র.) কে জিজ্ঞেস করেছিলেন মুনাজাত কোন দিকে করবে, ইমাম মালেক জবাবে বলেছিলেন, রওজা শরীফের দিকে মুনাজাত করুন। (প্রাগুক্ত, পৃ: ৮৮-৮৯)
মিশকাত শরীফের ব্যাখ্যা গ্রন্থ “আশিয়াতুল লুমআত” এ উল্লেখ আছে, কবরবাসীকে সামনে নিয়ে মৃতব্যক্তির মুখোমুখী হয়ে সালাম করা হলো যিয়ারতের আদব। (মিশকাত শরীফ, পৃ: ১৫৪, পাশ্বটিকা-০২)
হানফী মাযহাবের প্রসিদ্ধ ফকীহ ইমাম ত্বাহতাবী উল্লেখ করেন, কবর যিয়ারতের আদব ও মুস্তাহাব পদ্ধতি হলো, কবরকে সামনে রেখে ক্বিবলা কে পিছন দিকে রেখে সালাম পেশ করা। (ফাতওয়া-এ শামী, খন্ড:২য়, পৃ: ২৪২)।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজুম্মার দিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল ও বিশেষ ফজিলত
পরবর্তী নিবন্ধদূরের দুরবিনে