চিঠি আসে না…

হাবিবুল হক বিপ্লব | সোমবার , ১২ অক্টোবর, ২০২০ at ৫:০২ পূর্বাহ্ণ

‘রানার ছুটেছে তাই ঝুম ঝুম ঘণ্টা বাজছে রাতে/রানার চলেছে খবরের বোঝা হাতে’-কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের বিখ্যাত কবিতা ‘রানার’ এর সেই চরিত্র পাল্টেছে। ডাকঘরের রানারদের ব্যস্ততা কমেছে প্রযুক্তির কল্যাণে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ভাইভার, ইমো, গুগল ডুয়োসহ বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে যোগাযোগের সময় এখন। ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে চিঠি ও জরুরি কাগজপত্রসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পরিবহন সংস্থা। তাই একান্ত প্রয়োজন না হলে সহজে কেউ যেতে চান না ডাকঘরে। এক যুগ আগেও বেশ কদর ছিল ডাক বিভাগের।সাইকেল চালিয়ে ডাকবাহক ছুটে যেতেন শহর আর গ্রামের বাসা-বাড়িতে। পল্লীবধূ অপেক্ষায় থাকতেন স্বামীর পাঠানো চিঠির জন্য।মা-বাবা আর সন্তানের যোগাযোগ হতো ডাকে পাঠানো চিঠিতেই। প্রবাসীরা চিঠি আদান-প্রদানের মাধ্যমে রাখতেন পরিবার-পরিজনের খবর। কারো চিঠি এলে খাম ছিঁড়ে কয়েকবার পড়া, তারপর শুরু হতো উত্তর লেখার প্রস্তুতি। ডাকঘরে গিয়ে হলুদ রঙের খামের ভেতর ভাঁজ করে চিঠি দেয়া, আঠা লাগিয়ে খামের মুখ আটকে ডাকবাঙে ফেলার পর মিলতো স্বস্তি। এরপর চলতো আবার প্রতিউত্তরের অপেক্ষা। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ও ই-মেইলের মতো উন্নত প্রযুক্তির কারণে হারিয়ে গেছে সেই চিত্র। হারিয়ে যাচ্ছে বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে লেখার অভ্যাসও।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাতা-পিতাকে বৃদ্ধাশ্রমে নয়
পরবর্তী নিবন্ধনারী ও আক্ষেপ