চবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে স্বতন্ত্রদের বিজয়

সভাপতি সেলিনা, সম্পাদক সজিব

চবি প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১৮ জানুয়ারি, ২০২২ at ১০:৩৮ পূর্বাহ্ণ

এবারও বিএনপি-জামায়াতের অংশগ্রহণ ছাড়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আওয়ামী ও বামপন্থী সমর্থিত হলুদ দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়লাভ করেছেন দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী। কিন্তু তারা নিজেদের হলুদ দলের বলেই দাবি করছেন। তাদের মতে, তারা হলুদ দলের লোক, কিন্তু মনোনয়ন পাননি।
গতকাল সোমবার সকাল নয়টা থেকে দুপুর চারটা পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদ অডিটোরিয়ামে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী নির্বাচন কমিশনার মনিরুজ্জামান ভূঞা। মোট ৮৬২ জন ভোটারের মধ্যে ৭১১ জন ভোট প্রদান করেন। এর মধ্যে ১১টি ভোট বাতিল হয়। নির্বাচনে ৩৯১ ভোট পেয়ে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. মো. হানিফ সিদ্দিকী পেয়েছেন ২৯৬ ভোট। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ। সহ-সভাপতি পদে হলুদ দলের প্রার্থী ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর আবদুল হক ৩৯৭ ভোট, কোষাধ্যক্ষ পদে হলুদ দলের প্রার্থী চারুকলা ইন্সটিটিউটের প্রফেসর মো. জসিম উদ্দিন ৩৪১ ভোট ও যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এ এম জিয়াউল ইসলাম ৪০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া সদস্য পদে জিন প্রকৌশল ও জৈবপ্রযুক্তি বিভাগের নাজনীন নাহার ইসলাম, বাংলা বিভাগের শারমিন মুস্তারী, সমাজতত্ত্ব বিভাগের মুহাম্মদ শোয়াইব উদ্দিন হায়দার, রসায়ন বিভাগের ফণীভূষণ বিশ্বাস, পদার্থবিদ্যা বিভাগের সৈয়দা করিমুন্নেছা ও আইন বিভাগের হোছাইন মোহাম্মদ ইউনুছ সিরাজী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে সভাপতিসহ চারটি পদে নির্বাচন হয়েছে। তবে এবারের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকরা প্রার্থী না হলেও ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। গত ১১ ও ১৩ জানুয়ারি চবি শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে অগ্রিম ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ১৭১ জন ভোট দিয়েছেন। নবনির্বাচিত সভাপতি প্রফেসর সেলিনা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা হলুদ দলের লোক। মনোনয়ন পাইনি বলে নিজেরা দাঁড়িয়েছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসংশোধিত আইন এখন সংসদে পাসের অপেক্ষা
পরবর্তী নিবন্ধস্বপ্নসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা