চন্দনাইশে নৌকার প্রার্থী বাছাইয়ে ক্ষোভ-অসন্তোষ

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ

চন্দনাইশের ৮ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী বাছাই নিয়ে নানান অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন একাধিক প্রার্থীসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। গতবার নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া বেশ কয়েকজন কেন্দ্রে পাঠানো তালিকায় তাদের নাম এক নম্বরে না রাখারও অভিযোগ করেছেন। এই নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোভ এবং উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গত বুধবার চন্দনাইশ, আনোয়ারা ও বোয়ালখালী উপজেলার ২৫ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নামের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। ধোপাছড়ি থেকে গতবার নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোরশেদুল আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি গতবারের দলীয় (নৌকা) প্রতীকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান। এবারও মনোনয়ন চেয়েছি আমি। কিন্তু জানতে পেরেছি কেন্দ্রে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে সেখানে আমার নাম নাই। এক নম্বরে যার নাম পাঠানো হয়েছে তিনি আওয়ামী লীগের কেউ নন। নিজের নাম কেন্দ্রে না পাঠালেও কোনো আফসোস থাকত না যদি দলের দুর্দিনের একজন কর্মীর নাম অন্তত পাঠানো হত।
এদিকে গতবার নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬ নম্বর বৈলতলী ইউনিয়ন থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান অ্যাড. আনোয়ারুল মোস্তফা চৌধুরী তার নাম ১ নম্বরে দেয়া হয়নি অভিযোগ করে বলেন, আমি অর্ধেকের বেশি ভোটে গতবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছি। সেই হিসেবে তো আমি এবারও অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা। কিন্তু জানতে পেরেছি- কেন্দ্রে পাঠানো নামের তালিকায় আমার নাম এক নম্বরে নেই। প্রায় একই কথা বলেন ৮ নম্বর হাশিমপুর ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হেলাল উদ্দীন চৌধুরী।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ধোপাছড়িতে এক নম্বরে যার নাম দেয়া হয়েছে তিনি ফেসবুকে সরকার বিরোধী প্রচারণায় যুক্ত ছিলেন। বরমা ইউনিয়নে গতবার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের নাম কেন্দ্রে পাঠানো তালিকায় চার নম্বরে রাখা হয়েছে। তালিকায় এক নম্বরে রাখা হয়েছে একজন প্রবাসীর নাম। কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের তালিকায়ও এক নম্বরে রাখা হয়েছে একজন প্রবাসীর নাম। একই অবস্থা বৈলতলী ইউনিয়নেও।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআনোয়ারায় তিন দিনে ৪০৫ প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন
পরবর্তী নিবন্ধধানের ভরা মৌসুমেও বেড়েই চলেছে চালের বাজার