স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র-গণ-আন্দোলন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের ত্যাগী সংগঠক ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের জীবন ও কর্ম নিয়ে প্রকাশিত ‘অদম্য এক মনোয়ার হোসেন’ শীর্ষক সম্মাননা গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার নগরীর রীমা কমিউনিটি সেন্টারে এই গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শিল্পী শাহরিয়ার খালেদ সম্পাদিত গ্রন্থটি খড়িমাটি থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
অধ্যাপক ড. মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে ‘অদম্য এক মনোয়ার হোসেন’ শীর্ষক সম্মাননা গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম আয়োজিত প্রকাশনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এফ ইমাম আলি, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, কবি ও নাট্যজন অভীক ওসমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু মোহাম্মদ হাশেম, সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়া উদ্দিন, সাংবাদিক জসীম চৌধুরী সবুজ, হাসিনা জাফর, সাংবাদিক মানস ঘোষ, কবি ও প্রাবন্ধিক সীমা কুণ্ডু। আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও শিক্ষা উপ-মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রকাশনা অনুষ্ঠানের সফলতা কামনা করে শুভেচ্ছা বাণী পাঠান। অ্যাডভোকেট টিআর খানের নেতৃত্ব জাগ্রত আইনজীবী পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও হাসিনা জাফর ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করেন।
গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনকালে দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, চট্টগ্রাম এখন দুস্থ অবস্থায় রয়েছে। সমন্বয়হীন অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে চট্টগ্রামের অবস্থা খুব খারাপ। মনোয়ার হোসেন চট্টগ্রামের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। চট্টগ্রামের এ অবস্থায় মনোয়ার হোসেনের আন্দোলন খুবই প্রাসঙ্গিক।
সভাপতির বক্তব্যে ড. মাহবুবুল হক বলেন, মনোয়ার হোসেন ছাত্রজীবন থেকেই প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়নে, জনদুর্ভোগ, নাগরিক সমস্যা লাঘবে আন্দোলন করেছেন। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন বলেন, আমি মানুষের জন্য কাজ করে গেছি। সকলের ভালোবাসা, সহযোগিতার কারণে নাগরিক আন্দোলন সফলতা পেয়েছে। চট্টগ্রামকে বিশ্বের উন্নত শহর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে, জলাবদ্ধতামুক্ত আধুনিক শহর গড়ে তুলতে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। প্রতিটি সেক্টরে স্ব স্ব অবস্থান থেকে সোচ্চার হতে হবে। নাগরিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে হবে।
শিল্পী শাহরিয়ার খালেদ বলেন, জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে এবং চট্টগ্রামের উন্নয়নে ১৫ দফা বাস্তবায়নে চাক্তাই খাল খনন সংগ্রাম কমিটি ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি গঠন করে নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সহযোদ্ধা মনোয়ার হোসেন শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিমনস্ক একজন রাজনীতিক। আমি এবং মনোয়ার জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম শহর গড়ে তুলতে, নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। নতুন প্রজন্মের কাছে সেসব ইতিহাস তুলে ধরার দায়বদ্ধতা থেকেই এই গ্রন্থ প্রকাশ করা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
