প্রস্তাবিত ২০২৩–২৪ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তির বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে তাকে আয়কর দিতে হবে। চলতি ২০২২–২৩ অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা রয়েছে ৩ লাখ টাকা। নতুন অর্থবছরের বাজেটে এই সীমাও বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। নারী ও ৬৫ বছরে বেশি বয়সী করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। খবর বাংলানিউজের।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, মুদ্রাস্ফীতির কারণে করদাতাদের প্রকৃত আয় হ্রাস পেয়েছে বলে কোম্পানি ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ব্যতীত অন্যান্য শ্রেণির করদাতা, বিশেষ করে স্বাভাবিক ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাগণের করমুক্ত আয়সীমা কিছুটা বাড়ানোর প্রস্তাব করছি। এতে ব্যক্তি করদাতাদের করভার লাঘব হবে বলে করদাতারা নিয়মিতভাবে কর পরিশোধে উৎসাহিত হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। একই সঙ্গে সর্বনিম্ন করহার ৫ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশে নির্ধারণের প্রস্তাবও করেন অর্থমন্ত্রী। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী আগামী অর্থবছর থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হবে না। পরবর্তী ১ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ে কর দিতে হবে ৫ শতাংশ হারে। তার পরবর্তী ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ে কর দিতে হবে ১০ শতাংশ হারে। পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হবে ১৫ শতাংশ হারে। তার পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কর দিতে হবে ২০ শতাংশ হারে। এর চেয়ে বেশি আয়ের জন্য ২৫ শতাংশ হারে কর প্রযোজ্য হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২৩–২৪ অর্থবছরে নারী ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের করদাতাদের জন্য ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে আয়সীমা ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করছি। প্রতিবন্ধীদের ব্যক্তি করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৪ লাখ থেকে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা ও গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করছি।
এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং কোনো প্রতিবন্ধী ব্যক্তির পিতামাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের ক্ষেত্রে এমন প্রত্যেক সন্তানের জন্য ৫০ হাজার টাকা বেশি করমুক্ত আয়সীমা রাখার প্রস্তাব করছি।