এমিল জোলা : বৈরী স্রোতের শিল্পী

| সোমবার , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ৫:১১ পূর্বাহ্ণ

বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক এমিল জোলা উনিশ শতকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর হাত ধরে সূচনা হয় ‘প্রকৃতিবাদ’ নামের একটি আধুনিক আন্তর্জাতিক সাহিত্য আন্দোলনের। আজ তাঁর ১১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী।

এমিল জোলার জন্ম ১৮৪০ সালের ২ এপ্রিল ফ্রান্সের প্যারিসে। পেশাগত জীবনের সূচনা ফরাসি শুল্ক বিভাগের করণিক হিসেবে। পাশাপাশি সাহিত্য ও চিত্রকলা নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখি করতেন। স্বদেশের সমকালীন রাজনীতি তাঁর জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। ফ্রান্সের রাজনৈতিক উদারনৈতিকতার পক্ষে আজীবন ছিলেন সোচ্চার। লেখালেখি জীবনের শুরুতে বেশ কিছু ছোটগল্প, প্রবন্ধ, চারটি নাটক ও তিনটি উপন্যাস লেখেন। তবে ১৮৭১ থেকে ১৮৯৩ সালের মধ্যে বিশটি উপন্যাসের এক বিশাল সিরিজ রচনা করেন তিনি। ‘রুগমাকার’ নামের এই উপন্যাসমালায় চিত্ররূপ পেয়েছে সমসাময়িক সমাজের প্রাকৃতিক ও সামাজিক ইতিহাস।

সমাজের নানাবিধ শ্রেণিপেশার মানুষ তাদের দুঃখবেদনা, যন্ত্রণাক্লিষ্ট জীবনযাপন, ভালোবাসার অন্বেষণ এক কথায় বৈরীতা হয়েছে তাঁর শিল্পের অনুষঙ্গ। তবে বেদনার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির স্বপ্নও দেখেছেন তিনি। সর্বদাই চেয়েছেন নিপীড়িত ও বঞ্চিতদের জীবন হোক আনন্দময়। জোলা ছিলেন তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণশীল ও সমাজ মনষ্ক লেখক। তাই তাঁর রচনার অনিরুদ্ধ প্রবাহে কেবল একজন জীবনদ্রষ্টা লেখক নয়, এক মহান দার্শনিকেরও সন্ধান মেলে। এমিল জোলার দুটি উপন্যাস ‘দ্য আর্থ’ ও ‘দ্য জার্মিনাল’ বাংলায় অনূদিত হয়েছে যথাক্রমে ‘মাটি’ ও ‘অঙ্কুর’ নামে। ১৯০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন সমাজ বাস্তবতার কথাকার এমিল জোলা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসোনার বাংলার অভিযাত্রী শেখ হাসিনা
পরবর্তী নিবন্ধজীবন্ত কিংবদন্তী নেত্রী : জন্মদিনে শুভেচ্ছা