ইতিবাচক আগ্রাসী ক্রিকেটের পক্ষে হাতুরুসিংহে

স্পোর্টস ডেস্ক | রবিবার , ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ at ৭:২৯ পূর্বাহ্ণ

সাম্প্রতিক সময়গুলোতে বাংলাদেশ ভিন্ন ধরনের ক্রিকেট খেলার বার্তা দিয়ে যাচ্ছে। টিটোয়েন্টি, ওয়ানডেতে দেখা যাচ্ছে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের ছাপ। সর্বশেষ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ওয়ানডের সিরিজের সবগুলোতেই বাংলাদেশের ইনিংস তিনশ ছাড়িয়ে গেছে। চন্ডিকা হাথুরুসিংহে হেড কোচ হয়ে ফেরার পর থেকেই ইতিবাচকতা ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। বাংলাদেশ দলের পরের মিশন ইংল্যান্ডের মাটিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এজন্য সিলেটে তিনদিনের ক্যাম্প করেছে বাংলাদেশ। গতকাল শনিবার শেষদিনে এসে হাথুরুসিংহে বলেন, আগ্রাসী ক্রিকেট খেলাই লক্ষ্য তাদের। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,‘আমাদের অ্যাপ্রোচ সবসময় থাকবে ইতিবাচক আগ্রাসী ক্রিকেট খেলার। এর মানে এমন না যে, বল মেরে স্টেডিয়ামের বাইরে পাঠিয়ে দিতে হবে। ক্রিকেটারদেরও আমি এই কথা বলি সবসময়। আগ্রাসী ক্রিকেট মানে হলো, যাই করি না কেন, ইতিবাচক আগ্রাসী ইন্টেন্ট নিয়ে করা। পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও আগ্রাসী থাকা, সেটা হোক দল বাছাই কিংবা ফিল্ড প্লেসিং কিংবা কী ধরনের বোলিং করা হবে। আমরা ছেলেদেরকে এই স্বাধীনতা দিতে যাই, যেন তারা মাঠে গিয়ে নিজেদের মেলে ধরতে পারে।’ সিলেটের ক্যাম্পে ম্যাচ পরিস্থিতি বানিয়ে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। হাথুরুসিংহে জানিয়েছেন এর কারণও। লঙ্কান কোচ বলেন, ম্যাচে গিয়ে যেন ক্রিকেটাররা আটকে না যান সে জন্যই এমন অনুশীলন করানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যদি আপনি ওপেনার হন, তাহলে প্রথম দশ ওভার ব্যাট করতে হবে। কীভাবে আমরা দশ ওভার ব্যাট করতে চাই, ফিল্ড রেস্ট্রিকশন কীভাবে কাজে লাগাবেন। যদি মিডল অর্ডারে আসেন, ভিন্ন অবস্থা, যেমন কখনো চার জন আউট বা কখনো পাঁচ জন। এটা গুরুত্বপূর্ণ কীভাবে আপনি শুরু করতে চান। যদি ওভাবে অনুশীলন না করেন, উইকেটে গিয়ে আপনি থমকে যাবেন। যেটা আমরা চাই না। আমরা চাই তাদের মাথা পরিস্কার থাকুক যেকোনো পরিস্থিতিতে তাদের খেলা কেমন হবে।’ ওয়ানডে অধিনায়ক তামিমের ফর্ম নিয়ে হাথুরু বলেন, ‘আমি কারও সঙ্গেই বাড়তি কিছু করিনি। আমি শুধু মাঝে দাঁড়িয়ে এটি নিশ্চিত করছিলাম যে সেশনটা যেন ভালোভাবে শেষ হয় এবং তীব্রতা না কমে। নির্দিষ্ট কাউকে নিয়ে চিন্তিত নই আমি। পুরো দল নিয়েই ভাবছি যে কীভাবে আমরা ভালো করতে পারি। তামিম খুব ভালো ব্যাটিং করছে। এই ক্যাম্পে যেভাবে ব্যাটিং করেছে, আমি খুব খুশি।’

এদিকে বিশ্বকাপের আগে সাকিবমিরাজের সঙ্গে স্পিনার হিসেবে কে থাকবেন এটাই বড় প্রশ্ন। সেই উত্তর খুঁজতে গিয়ে তাইজুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদকে পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। তাদের নিয়ে এ পরীক্ষা বিশ্বকাপ অবধি চলবে বলে জানান হাথুরুসিংহে। তিনি বলেন, ‘আমরা আলোচনা করেছি স্কোয়াড বড় করতে চাই। সবাই অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করুক। বিশ্বকাপের আগে অবধি এমন চলতেই থাকবে।’ ভালো করার পরেও বাদ পড়ে যাওয়ায় ক্রিকেটারের জন্য অস্বস্তির নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই নিয়ে প্রভাব ফেলবে না। কারণ তাদের সঙ্গে যথেষ্ট কথা হয়েছে। ব্যাখ্যা করেছি কেন তারা আছে, কেন নেই। আশা করি প্রভাব ফেলবে না। যদি ফেলে, তাহলে এটা চাপের মধ্যে তাদের পারফরম্যান্সেও প্রভাব ফেলবে। ওই ধরনের খেলোয়াড় আমরা দলে চাই না।’ এদিকে হেড কোচ হিসেবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ফেরার পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু এরপর ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ছিলেন না, নেই আইরিশদের বিপক্ষে পরের সিরিজেও। এ অবস্থায় অক্টোবরের ওয়ানডে বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ থাকবেন কি না, এ নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা কল্পনা। কয়েকদিন আগে বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন জানিয়েছেন, রিয়াদকে বিশ্বকাপ দলে দেখেন না তিনি। এ প্রসঙ্গে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘আগে যেটা বলেছি, তেমনই আছে। তারা সবাই লিস্টে আছে। সবাই বিশ্বকাপের আগে এসে খেলার সুযোগ পাবে। আমরা এখনও ওই মানসিকতা বদলাইনি।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধবৃষ্টিতে ভেসে গেল মেয়েদের প্রথম ওয়ানডে
পরবর্তী নিবন্ধসিঙ্গাপুরের মুখোমুখি আজ বাংলাদেশ