অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যাচ্ছে চসিকের অস্থায়ীরা

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৭:৫৬ পূর্বাহ্ণ

চাকরি স্থায়ীকরণে ‘একদফা’ দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলনে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে (চসিক) কর্মরত অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আগামী সপ্তাহে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এর আগে গতকাল বুধবার টাইগারপাসস্থ নগর ভবনের সামনে টানা আড়াই ঘণ্টা অবস্থান নিয়ে গণজমায়েত করে ‘কঠোর কর্মসূচি’র আভাস দেন তারা। ‘চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ’ এর ব্যানারে গণজমায়েত চলাকালে নগর ভবনে ছিলেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীসহ কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এসময় কার্যত অবরুদ্ধ ছিলেন তারা। এর আগে ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পৌনে চারঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ওই সময় স্থায়ীকরণের আশ্বাস দিলে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। পরবর্তীতে ৫ ডিসেম্বর মেয়রকে স্মারকলিপি প্রদান, ৮ ডিসেম্বর নগর ভবনের সামনে মানববন্ধন করা হয়। এরপর নতুন কর্মসূচির আভাস পেয়ে পুনরায় আশ্বাস দেয় চসিক কর্তৃপক্ষ। ওই আশ্বাস পূরণ না হওয়ায় ‘আস্থা’ হারিয়ে আন্দোলনে নামছে অস্থায়ীরা।
আন্দোলনকারীরা জানায়, চসিকে অনুমোদিত জনবল কাঠামোর বিপরীতে এক হাজার ৫৪৫টি শূন্যপদ রয়েছে। অথচ সংস্থাটিতে বর্তমানে অস্থায়ী কর্মরত আছেন সাত হাজার জন। এদের মধ্যে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে কর্মরতরাও আছেন।
আন্দোলনকারী সংগঠনের আহ্বায়ক আবু তাহের বলেন, শূন্যপূদ পূরণে মন্ত্রণালয় থেকে চারবার সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। সর্বশেষ ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়। এ সময়ের মধ্যে আমাদের স্থায়ীকরণ প্রক্রিয়া শুরু না হলে আমরা আইনি জটিলতায় পরে যাব। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় কর্তৃক বেঁধে দেওয়া সময়সীমার দুই মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে। কিন্তু স্থায়ীকরণের কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় সংকট মুহূর্তে আছি।
সদস্য সচিব সাজু মহাজন বলেন, আমরা নিজেদের নায্য দাবি আদায়ে আন্দোলনে নেমেছি। অথচ এ সময়ে আমাদের অফিসে বসে জনগণকে সেবা দেওয়ার কথা। স্থায়ীকরণ আমাদের অধিকার। কর্তৃপক্ষ আমাদের অধিকার যথাসময়ে দেয়নি বলে আজ রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথকে সঙ্গী করব।
যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, স্থায়ীকরণ আমাদের আইনগত অধিকার। অস্থায়ী হওয়ায় আমরা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাই আমাদেরকে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। বিভিন্ন সময় স্থায়ীকরণের প্রক্রিয়া শুরু করলেও কোনো এক অদৃশ্য কারণে কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
সমাবেশ সঞ্চলনা করেন সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম সচিব জাহিদুল ইসলাম জোমাদ্দার। বক্তব্য রাখেন ডা. হাসান মুরাদ চৌধুরী, ডা. সুমন তালুকদার, শফিউল আযম, যুগ্ম আহ্বায়ক লিটন বড়ুয়া, খায়রুল বশর তসলিম, রবিউল হোসেন, বোরহানুল আলম, ইরফানুল হক, রাজু তালুকদার, অর্পণ চাকমা ও অলকা বিশ্বাস।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআজাদী সম্পাদককে উষ্ণ সংবর্ধনা
পরবর্তী নিবন্ধশাহ আমানত বিমানবন্দরকে উন্নত করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী